আশুগঞ্জে ফিরোজ মিয়া কলেজ সরকারীকরণ করায় আনন্দ শোভা যাত্রা॥
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া কলেজ সরকারীকরণ করায় আনন্দ শোভা যাত্রা করেছে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, প্রতিষ্ঠাতা ও সদ্য বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ চত্বর একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাচারী বির্থীকায় গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রাটি নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হিরা। পরে কাচারী বিথীকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যাড়ালে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানান শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রতিষ্ঠাতা ও সদ্য বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।
শোভা যাত্রার আগে কলেজ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হিরা। সভায় কলেজের ভারপ্রার্প্ত অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান জিন্নাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি হাজী মোঃ ফিরোজ মিয়া, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ আনিছুর রহমান, কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
১৯৯২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাঠদানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম। তখন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ছিল ১শ ২৩ জন। উচ্চ মাধ্যমিক স্তর চালুর পর দীর্ঘ ২৬ বছরে কলেজটিতে সংযোজন হয়েছে কারিগরি, ডিগ্রি পাস কোর্স ও ৫টি বিষয়ে অনার্স কোর্স। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে আড়াই হাজারের মতো। কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এ কলেজ থেকে শিক্ষা গ্রহন করে উচ্চ শিক্ষিত হয়েছে কলেজের শিক্ষার্থীরা নানা পেশায় সরকারী উচ্চতর পদে কর্মরত হয়েছেন এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব মোঃ ফিরোজ মিয়া প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৪ সালের ১লা জানুয়ারী এমপিও হয়। ২০১৬সালে সরকারীকরনের জন্য প্রথম জড়িপ হয়। বিভিন্ন ধাপের মধ্যে সরকারী পরিদর্শনের কাজ সম্পন্ন হয়। এ পক্রিয়ায় ২০১৭ সালে মে মাসে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ফিরোজ মিয়া ১৬ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা মূল্যমানের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি দানপত্র দলিল সরকারের নিকট হস্তান্তর করেন। পর্যায়ক্রমে এ পক্রিয়া শেষে চলতি বছরের ৮ আগষ্ট দেশের ২৭১টি কলেজ সরকারীকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এরমধ্যে ফিরোজ মিয়া কলেজ অন্যতম।
কলেজ প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মোঃ ফিরোজ মিয়া জানান, বর্তমান সরকার কলেজটিকে সরকারীকরন করায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।