আশুগঞ্জে তূর্ণা হত্যার দায় স্বীকার ::স্বামী আরিফুল হক ওরফে রনির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
প্রতিনিধি::ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে গৃহবধূ কামরুন্নাহার তূর্ণা হত্যার দায় স্বীকার করে ঘাতক স্বামী আরিফুল হক ওরফে রনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিমের দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ফারজানা আহমেদ এর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রনি। এর আগে ২১ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারিক হাকিম তৃতীয় আদালতে আরিফুল হক রনি আত্মসমর্পণ করেন। বিচারিক হাকিম তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান বলেন, আরিফুল তাঁর স্ত্রী কামরুন্নাহারকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রনি আদালতে জানান, ২০১৫ সালে কামরুন্নাহার অন্তঃসত্বা হন। তখন সে সন্তান নিতে আগ্রহী ছিলেন না। তাই সে সন্তান নষ্ট করে ফেলেন। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। চলতি বছরে কামরুন্নাহার আবারো অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েন। এবারো তিনি সন্তান রাখতে আগ্রহী ছিলেন বলে জবানবন্দিতে আরিফুল হক বলেন। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে ২৩ এপ্রিল দিনগত রাতে কামরুন্নাহার ও আরিফুলের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে রাতে ঘুমের মধ্যে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে কামরুন্নাহারকে হত্যা করে আরিফুল। পরে অরিফুল একাই তুর্ণার লাশ নিজের বাড়ির পরিত্যক্ত পানির ট্যাংকে গিয়ে রাখেন। ২৪ এপ্রিল উপজেলার চরচারতলা গ্রামে শ্বশুরবাড়ির পরিত্যক্ত পানির ট্যাংক থেকে কামরুন্নাহারের হাত-মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর থেকেই তাঁর আরিফুল হক পলাতক ছিলেন। এই ঘটনায় কামরুন্নাহারের বাবা মফিজুল হক বাদী হয়ে ২৫ এপ্রিল আশুগঞ্জ থানায় আরিফুলকে একমাত্র আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান, রনি আদালতে যে জবানবন্ধী দিয়েছে তাতে করে আর কোন কিছু করার থাকে না। তবে এই হত্যার সাথে আর কারো কোন সম্পর্ক আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিংবা হত্যার পরে নিহতের মরদেহ আড়াল করতে কারো সহযোগীতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।