আশুগঞ্জে অস্ত্র সদৃশ্য ছুরি ও বল্লম কলম বিক্রি॥ ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা
ইসহাক সুমন :: যে বয়সে কোমলমতি শিশুরা মনোযোগী হয়ে হাতে কলমে পড়াশোনা শুরু করবে। আর সেই বয়সেই কলমের নামে ছুরি, বল্লমের মতো উপকরণ অস্ত্র সুদৃশ্য বস্তু কলমআ হিসেবে ব্যবহার করে খাতায় লিখছে। ছুরি, বল্লমের মতো উপকরণ সদৃশ্য বস্তু কলম নিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে এক শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষার্থীর মধ্যে ঝগড়া বিবাধে লিপ্ত হচ্ছে। শিশুকাল থেকেই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষার বদলে শিখছে ঝগড়া বিবাধ।
জানা গেছে, গত কিছুদিন যাবত ছুরি, বল্লমের মতো উপকরণ সদৃশ্য বস্তু দিয়ে তৈরী কলম আশুগঞ্জ উপজেলা শহরের বিভিন্ন লাইব্রেরী ও স্টেশনারীতে বিক্রি হচ্ছে। এসব কলম বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ক্রয় করে বিদ্যালয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এক শিক্ষার্থীর কাছে দেখে অন্য শিক্ষার্থীরা ক্রয় করছে এ কলম। কলম গুলো দেখতে ছুরি ও বল্ল সদৃশ্য। শিক্ষার্থীরা ছুরি ও বল্লম সদৃশ্য কলম দিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিদিনই ঝগড়াই লিপ্ত হচ্ছে। আহত হচ্ছে কোন না কোন শিক্ষার্থী।
এতে করে শিশু বয়সেই শিক্ষার্থীরা এসব অস্ত্র সদৃশ্য কলম দেখে বেপরোয়া পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিদনিই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে আসছে নালিশ। এক পর্যায়ে উপায় না পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা আমিরুল কায়ছারকে অবহিত করেন। পরে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা আমিরুল কায়ছার ও আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রার্প্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্টেশনারী, লাইব্রেরীতে অভিযান চালিয়ে কাচারী রোডে অবস্থিত নিশাদ এন্টারপ্রাইজ থেকে অস্ত্র সদৃশ্য কলম জব্দ করে এবং ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার আইনে ২০ হাজার টাকা জড়িমানা করেন। জব্দকৃত কলমের মধ্যে বল্লম সুদৃশ্য কলম ৯৬ পিছ ও ছুরি সদৃশ্য কলম ৮৪ পিছ কলম ছিল। এবং আগামীদিনে এ ধরেন কলম বিক্রি না করার জন্য সর্তক করে দেন।
আশুগঞ্জ শহরের অবস্থিত আদর্শ বিদ্যাকাননের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হক জানান, গত কিছুদিন যাবত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশীয় অস্ত্র বল্ল ও ছুরি সদৃশ্য কলম ক্রয় করে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসছেন এবং এক শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষার্থী ঝগড়া বিবাধে লিপ্ত হচ্ছেন। বিষয়টি আমার নজরে আসলে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া শিশু বয়সে এসব অস্ত্র সুদৃশ্য কলম ব্যবহার হলে জঙ্গিবাদের আংশকা রয়েছে।
উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা আমিরুল কায়ছার জানান, বর্তমান পেক্ষাপটে ও শিশুরা অল্প বয়সে অস্ত্র সদৃশ্য বস্তু কলম দিয়ে লেখাপড়া করাই শিশুরা বিভিন্ন অস্ত্র চালানো শিখে যাচ্ছে। এ জন্য এর ভয়াবহতা অনেক বৃদ্ধি পাবে।