অবেেশষে এনএসআই কর্মকর্তা মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগের নিষ্পত্তি
প্রতিনিধি:: অবশেষে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. মাসুদ আলম ও তার ছোট ভাই রুবেল আলমের বিরুদ্ধে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে। এনএসআই’র উচ্চতর তদন্ত কমিটির দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়। মাসুদ আলমের ছোট ভাই রুরেল আলমও এনএসআই’র একজন সহকারি পরিচালক পদে কর্মরত রয়েছেন।
জাতীয় মানবধিকার কমিশন স্মারক নং:এনএইচআরসিবি/অভিযোগ/২৬৪/১৫/২৮০১ চলতি বছর ৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগকারীকে এ আদেশ জানিয়ে দেওয়া হয় মর্মে জানা যায়, যার অনুলিপি মাসুদ আলম কিংবা এনএসআই’র মহাপরিচালককে অবগত করা হয়নি। এ অবস্থায় অভিযোগ নিষ্পত্তি হলেও, মিথ্যা অভিযোগ ও গঠিত তদন্ত কার্যক্রমে প্রশাসনিক, সামাজিক ও মানসিক ভাবে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এনএসআই কর্মকর্তা মাসুদ আলম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে এনএসআই’র বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. মাসুদ আলমের বিরুদ্ধে তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেন বলে তার নিজ গ্রামের বাসিন্দা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের খাড়াসার গ্রামে মৃত আব্দুল মান্নাফের ছেলে মোহাম্মদ আলী গং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া মাসুদ আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ডাকাতি ও মারামারিরসহ নানা অপকর্ম এবং তার ছোট ভাই রুবেল আলমের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের কথাও উল্লেখ করা হয় সেই অভিযোগে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মানবাধিকার কমিশন গত বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি এনএসআই’র মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগের তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন চেয়ে একটি চিঠি পাঠায়।
মাসুদ আলমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এনএসআই কর্তৃপক্ষ গত বছর ২৭ আগস্ট তাকে বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে বদলীর আদেশ জারি করে একই বছর ৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগ তদন্তে একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এনএসআই কর্তৃপক্ষের এ আদেশ জারির পর অভিযোগকারীরা তালশহর এলাকায় অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আনন্দ-উল্লাস করে এবং ‘১৫ লক্ষ টাকা মোটে খরচ হয়েছে এবার চাকরি খাব’ বলেও হুমকি দেন অভিযোগকারীরা। মাসুদ আলম গত বছর ১৫ আগস্ট থেকে পবিত্র হজ্বব্রত পালনের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করছিলেন এবং ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফিরে তার কর্মস্থলে যোগদান করে। দ্বিতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছেলে এবং কেজি শ্রেণিতে অধ্যায়নরত কন্যা সন্তানের বার্ষিক পরীক্ষার আসন্ন হওয়ায় স্ত্রী সন্তানদের ঢাকায় একা রেখে গত বছর পহেলা নভেম্বর এনএসআই’র বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে যোগদান করে এখনো পর্যন্ত সেখানেই কর্মরত রয়েছেন মাসুদ আলম। পরবর্তীতে অভিযোগের দীর্ঘ তদন্ত শেষে এনএসআই’র মহাপরিচালক চলতি বছরের গত ২৫ জুন মানবাধিকার কমিশনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠায়। পরে তদন্ত প্রতিবেদনটি মানবাধিকার কমিশনের বেঞ্চ-২ এ উপস্থাপন করা হলে অভিযোগ যথাযথভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় উক্ত বেঞ্চ অভিযোগটি নিষ্পত্তিযোগ্য মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আদেশ জারি করেন।ণ করতে থাকেন। এরই জেরে ষড়যন্ত্র করে মাসুদ আলমের গ্রামের লোকজনদের দিয়ে তিনি এবং তার ছোট ভাই রুবেল আলমের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশনে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করান।