Main Menu

আশুগঞ্জে দুই মামলা, সাবেক এমপি মঈনসহ আসামি ১৩৪

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিনসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ১৩৪ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে আশুগঞ্জ থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

মামলায় উপজেলার আশুগঞ্জ গোল চত্বর, চরচারতলা, সোনারামপুর, উজান-ভাঁটি হোটেল সংলগ্ন বাদশা বাড়ির মোড়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে। উভয় মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অনেককেই আসামি করা হয়েছে।

গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দিন আশুগঞ্জ উপজেলায় সংঘর্ষের ঘটনায় আজ উপজেলার বাহাদুরপুরের মৈশার গ্রামের হাসান মিয়া বাদী হয়ে ৮৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা এবং উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের রমজান আলী বাদী হয়ে ৪৭ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

দুটি মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঈন উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছফিউল্লাহ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল সিকাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান কবির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহিন সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন খন্দকার, তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সোলায়মান মিয়া, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া ও তার ভাই রোমান মিয়া।

উভয় মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট আশুগঞ্জ উপজেলার আশুগঞ্জ গোল চত্বর, উপজেলার চরচারতলা, সোনারামপুর, উজান-ভাঁটি হোটেল সংলগ্ন বাদশা বাড়ির মোড়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপর শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক দফা দাবির কর্মসূচি পালনে ছাত্ররা জড়ো হন। সেসময় ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে মামলার এজাহারে উল্লিখিত ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই আসামিরা ককটেল, বোমা, পিস্তল, দা, লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। বিকট শব্দে ঘটনাস্থল প্রকম্পিত হয়, কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আসামিরা ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে এক মামলার বাদীর খালাতো ভাই ফেরদৌস মিয়ার বাম হাতের কবজির ওপর দুটি গুলি লাগে। শুধু তাই নয়, আসামিরা একপর্যায়ে পেট্রোল দিয়ে মামলার সাক্ষী ও পথচারীদের ৪০টি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এতে ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

আশুগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আ স ম আতিকুর রহমান জানান, হাসান মিয়া ও রমজান আলী বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেছেন। একটি মামলায় ৮৭ জন ও আরেকটি মামলায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও অনেককেই আসামি করা হয়েছে। দ্রুতই মামলার আইনগত পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।






Shares