Main Menu

আশুগঞ্জে আইসিটি অধিগ্রহণকৃত মামলা নিস্পত্তি চায় প্রকৃত ভূমি মালিকরা

+100%-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার নদী বন্দর (আইসিটি) এর জন্য অধিগ্রহণকৃত অবকাঠামো ও ভূমি মালিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ, মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ করেছে ভুক্তভোগী ভূমি মালিকরা।
রোববার (১০ নভেম্বিবর) বিকালে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের নাসির আহমেদ সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ভূমি মালিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম।
এসময় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নদী বন্দর প্রকল্পের অধীনে ২৫ একর ৬০ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬২০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ৪শত কোটি টাকা সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে। বাকী টাকা বিভিন্ন মামলায় জটিলতার কারণে ভূমি মালিকদের দিতে পারছেনা। যার কারণে অধিগ্রহণ আওতায় ৯টি রাইছ মিল মামলা জটিলতায় টাকা পাচ্ছে না।
আশুগঞ্জ আভ্যন্তরীণ কনটেইনার নদী বন্দর প্রকল্পটি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত। যার কারণে এই এলাকার রাইছ মিল গুলো ভাড়া ও উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল। এজন্য মালিকরা প্রতিবছর আর্থিকভাবে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়। যখন নদী বন্দরের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ নিশ্চিত হয় এবং ৮ ধারায় নোটিশ আসার পর থেকে অসাধু একটি চক্র ভূমি মালিকদের ভয়-ভীতি দেখান এবং তাদের কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। পরবর্তীতে তারা একের পর এক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে যড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করতে থাকে। এতে ভূমির প্রকত মালিকগণ দুঃচিন্তা ও হয়রানির স্বীকার হতে থাকে। এই মামলা গুলোর বিষয়ে জেলা অধিগ্রহণ অফিসের ভূমি কর্মকর্তা প্রতিটি মামলা নিয়ে একাধিকবার শুনানি করেছেন। শুনানিতে বাদীপক্ষকে উপযুক্ত কাগজ পত্র উপস্থাপনের কথা বললে, কোন বারই স্বপক্ষে কোন কাগজ তারা দেখাতে পারেননি। এসময় তারা বিষয়টি দ্রুত নিরসনে সংশ্লিষ্টদের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে অর্ধশতাধিক ভূমি মালিক ও অবকাঠামোর মালিকসহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।





Shares