Main Menu

সন্ত্রাসী তান্ডব:: নাসিরনগরে গর্ভবতীকে পিঠিয়ে আহত, ৭ মাসের শিশু খুন,

+100%-

borborota

মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি।

মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর থেকেঃ- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার নাসিরনগর উপজেলার দূর্গম এলাকা নামে খ্যাত চাপরতলা ইউনিয়নের চাপরতলা গ্রামে সন্ত্রাসী তান্ডবে ৭ মাসের শিশু খুন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা এক দরীদ্র রিক্সা চালকের স্ত্রী ৭ মাসের গর্ভবতীকে পিঠিয়ে গুরুতর জখম করে তার গর্ভপাত ঘটিয়ে ৭ মাসের শিশু খুনের ঘঠনা ঘটিয়েছে। বর্তমানে খুনের মামলা তুলে নিতে সন্ত্রাসী আসামীরা বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের হুমকিতে বাদী ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তা হীনতা ভোগছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ২৯ এপ্রিল ও ২৬মে ২০১৬ পর পর দুই বার। সরেজমিন এলাকায় অনুসন্ধানে গিয়ে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে ও মামলার এজাহার সূত্রে যানা গেছে, ১ম ঘটনার তারিখে চাপরতলা গ্রামের রিক্সা চালক কুদরত আলীর বাড়ীর আম গাছ থেকে সন্ত্রাসীদের ছেলে মেয়েরা আম পাড়তে শুরু করে। এতে কুদরত আলীর স্ত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রী রুনা আক্তার (২৭) বাধা দেয়। ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী সফর আলী (৩০) জাফর আলী (২৮) ইউসুফ আলী (৩২) রুনা আক্তারকে ঝাপটাইয়া চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে তাকে প্রাণে হত্যা ও গর্ভের সন্তান নষ্ট করার লক্ষ্যে তলপেটে এ্যালোপাতারী কিল, ঘুষি, লাথি মেরে গুরুতর আহত করে।

তাদের আঘাতের কারনে রুনার প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে শুরু হয়। রুনার অবস্থায় আসংকা জনক দেখে তাকে চিকিৎসার জন্য নাসিরনগর হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার মুমূর্ষ রুনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। সেখানে রুনাকে একটানা ২৪ দিন চিকিৎসা দেওয়া হয়। চতুর আসামীরা গ্রাম্য কিছু সর্দার মাতাব্বরের মাধ্যমে আপোশের প্রস্তাব দিয়ে আপোশের শর্তে হাসপাতাল থেকে রুনাকে বাড়ীতে নিয়ে আসে। সন্ত্রাসী আসামীগণ পরবর্তীতে আপোশের শর্ত অমান্য করে সকল আসামীরা মিলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ২৬ মে ২য় বার আবারো রুনার গর্ভ নষ্ট ও রুনাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বের ন্যায় বেদম মারপিট শুরু করে। সন্ত্রাসীদের মারপিটে ও আঘাতে রুনার তলপেটে তীব্র ব্যাথার সৃষ্টি হয় ও  প্রচুর রক্তক্ষরন শুরু হয়। আশংকা জনক অবস্থায় আবারও রুনাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্স রুনার গর্ভ হতে ৭ মাসের মৃত সন্তানের লাশ খালাস করে। বর্তমানে রুনা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। রুনার অবস্থায় আশংকা জনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানায়।

ওই ঘটনা রুনার স্বামী রিক্সা চালক কুদরত আলী বাদী হয়ে মশ্রব আলীর ছেলে সফর আলী (৩০) জাফর আলী (২৮) ইউসুফ আলী (৩২) আইয়ুব আরী (২৫) মামুদ আলী (২৩) শৌকত আলী (২০) কাছন আলীর ছেলে মশ্রব আলী (৬০) ছায়েদ আলীর ছেলে রুক্কু মিয়া (২৬) দিয়ারিশ মিয়া (২৪) সহ ৯ জনকে আসামী করে গত ০১/০৬/২০১৬ তারিখে নাসিরনগর থানার খুনের মামলা নং ২ জিআর ১৪২/১৬ রুজু করে। মামলার পর ৬ জন আসামী আদালত থেকে জামিনে এসে সকল আসামীরা মিলে বাদীকে মামলা তুলে নিতে অব্যাহত হুমকি ও তুলে না নিলে বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণে হত্য করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে জানায় বাদী। বাদী আরও জানায় আসামীরা এলাকার লাঠিয়াল হারমাদ জুলুম বাজ, সন্ত্রাসী, ও মামলা বাজ প্রকৃতির লোকজন। তাদের নামে থানায় ও আদালতে আরও বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা বিচারাধীন রয়েছে। তাদের ভয়ে এলাকার কোন লোক টু শব্দটিও করতে সাহস পায়নি। বর্তমানে বাদী ও তার পরিবারের লোকজন সন্ত্রাসী আসামীদের ভয়ে বাড়ী ছাড়া হয়ে চরম নিরাপত্তা হীনতা ভোগছে।






Shares