মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার স্বাক্ষী জুম্মান মিয়ার মৃত্যু
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে করা মামলার স্বাক্ষী জুম্মান মিয়া(৬৮) মারা গেছেন। এই মামলার ১৮ জন স্বাক্ষীর মধ্যে জুম্মান ছিলেন ৮ নম্বর স্বাক্ষী। গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের পোর্ট সিটিতে তাঁর ছেলের বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। নিহতের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামে।
নিহতের ছোট ভাই মোঃ কামরুজ্জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, জুম্মান মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে শাররীকভাবে অসুস্থ ছিল। গত ২৫ মার্চ চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে তাঁর ছেলের বাসা যায়। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় ফেরার পর রাত আটটার সময় তার মৃত্যু হয়।
তিনি নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের রঙ্গু মিয়ার ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীস্বজন রেখে গেছেন। ২৭ নভেম্বর দুপুরে তার পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাপন সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লিয়াকত আলী পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামে অভিযান চালিয়ে রঙ্গু মিয়া, হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে গণহত্যা-লুটপাট, কৃষ্ণপুরে নৃপেন রায়, রাধিকা মোহন রায় ও সুনীল শর্মাসহ ১৫ জন জ্ঞাত ও ২৮ জন অজ্ঞাত হিন্দু সম্প্রদাায়ের লোকদের গুলি করে হত্যা করে। এছাড়াও চন্ডীপুর ও গদাইনগর গ্রামে গণহত্যা ও লুটপাটসহ কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার সদানগর গ্রামের শ্মশাানঘাটে হত্যাকান্ড চালান লিয়াকত আলী।
২০১৬ সালের ১ নভেম্বর লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। সুনির্দিষ্ট সাতটি অভিযোগে একই বছরের ১৮ মে এই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।