প্রেক্ষাপট নাসিরনগর:: কম্পিউটারের দোকান শনাক্ত, পাওয়া গেছে ওয়েবসাইটও
ইত্তেফাক:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনাটি যে ছবিকে ঘিরে সেই ছবির উত্স খুঁজে পেয়েছে গোয়েন্দারা। যে কম্পিউটারের দোকানে ফটোশপের মাধ্যমে ছবি বিকৃত করে বানানো হয়েছে সেই দোকানটিরও সন্ধান মিলেছে। পাশাপাশি ওই দোকান থেকে ছবিটি তৈরির পর পাঠানো হয় একটি ওয়েবসাইটে। সেই ওয়েবসাইট থেকেই ছবিটি নিয়ে রসরাজের নামে ফেসবুক আইডি খুলে সেখানে পোস্ট করা হয়। তবে সর্বশেষ যে ছবিটি পোস্ট করেছে তাকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। এখন তাকেই খোঁজা হচ্ছে।
নাসিরনগরে হামলার ঘটনার তদন্ত করছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় পুলিশ। ঢাকার একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা ইত্তেফাককে বলেন, নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়নের হরিনবেড় বাজারের যে কম্পিউটারের দোকানে ফটোশপের মাধ্যমে বিকৃত ছবি তৈরি করা হয়েছে ওই দোকানটির সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে দোকানের মালিক পালিয়ে থাকায় তাকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। তার সন্ধানে একাধিক টিম কাজ করছে। শুধু দোকান মালিক নয়, তার সঙ্গে আরো কয়েকজনও এই ঘটনায় সম্পৃক্ত রয়েছে।
ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরো বলেন, কম্পিউটারের দোকান থেকে ছবিটি তৈরির পর Washin.com.bd নামে একটি ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়। সেখান থেকে ছবিটি নিয়ে ফেসবুকে রসরাজের নামে একটি পেজ খুলে সেখানে পোস্ট করা হয়। যেহেতু ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছাড়া কারো আইডি সম্পর্কে জানার সুযোগ নেই তাই যথাযথ প্রক্রিয়ায় এটা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন ওই ফেসবুক আইডি কে খুলেছে তা জানা গেলেই পুরো অপরাধী চক্র ধরা পড়বে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে যে রসরাজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই তা মোটামুটি নিশ্চিত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, Washin.com.bd নামের ওই ওয়েবসাইটটি আপাতত ব্লক করে রাখা হয়েছে। ওই ওয়েবসাইটে এই ধরনের ধর্মীয় উস্কানিমূলক আরো অনেক ছবি রয়েছে। কারা ওই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করেছে তাদেরও সন্ধান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ওই দিনের ওই হামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাংশ এবং জামায়াত ও হেফাজত সবাই অংশ নেয়। গ্রামের নিরীহ মানুষকে ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে হামলায় অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করে একটি গ্রুপ। ওই গ্রুপটির ব্যাপারে এখনো তথ্য সংগ্রহ করছে গোয়েন্দারা। চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, শনাক্তকৃত উক্ত ওয়েবসাইটটি নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চলছে।