প্রকৃত অপরাধীকে বাংলার মাটিতে বিচার করতে হবে —-এড: জিয়াউল হক মৃধা এমপি
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে পবিত্র কাবা ঘরের ছবির উপর শিবমূর্তি বসিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর, লুটপাাটের ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের চিননিত করে বাংলার মাটিতে তাদের বিচার করার দাবী জানিয়েছে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা এমপি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর যাবত হিন্দু মুসলমান পাশাপাশি বাস করে আসছে শান্তিপূর্ণ ভাবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে যে ভাংচুর করা হয়েছে আমি মনে করি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলংক জনক অধ্যায় রচনা করা হয়েছে। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধী যারা তাদের চিননিত করে বিচার করা উচিত বলে আমি মনে করি। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা যারাই করেছে আমরা তার নিন্দা জানায়। নানা ধরনের কথা পত্র পত্রিকা ও লোক মূখে ভেসে আসছে আমরা জানিনা সত্যটা কি। আমরা জানতে পেরেছি যে ছেলের ফেইসবুকে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে পোস্ট দেয়া হয়েছে সে না কি তেমন লেখাপড়া যানে না। এর পেছনে অন্য কোন চক্রন্ত আছে কি না এবং দেশীয় আন্তজাতিক চক্রান্ত আছে কিনা? দেশটাকে বিশৃংখলা পরিস্থিতিতে পেলে দিতে চাই কিনা? আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চাই কি না? সারা বাংলাদেশ ব্যাপি নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং সাম্প্রদায়িক সংঙ্গাত সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে কি না? তা হতিয়ে দেখতে হবে। আমার মনে হয় দায়সারা গোছের পুলিশি তদন্ত, জেলা প্রশাসকের তদন্ত, বিচার বিভাগীয় তদন্ত এসব দিয়ে কিচ্ছু হবে না। অভিজ্ঞ মহল দ্বারা তদন্ত করাতে হবে। সঠিক তথ্য উৎঘাটন করাতে হবে। প্রকৃত অপরাধী যারা তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। বাংলার মাটিতে তাদের বিচার করতে হবে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দের সহ্যায়তা করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা এমপি মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার প্রতিবাদের নামে উপজেলা সদরে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী কর্তৃক হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের শিকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘর পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের একথা বলেন।
এসময় জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সরাইল উপজেলা পূজা উদৎযাপন কমিটির নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসংঙ্গত গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস (২৭) নামে এক যুবক পবিত্র কাবা ঘরের ছবি এডিট করে এর উপর শিবমূর্তি বসিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করায় স্থানীয়রা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে শনিবার দিনভর নাসিরনগর সদর উত্তাল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় রোববার সকালে কলেজ মোড়ে উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতারা উপজেলা সদরের কলেজ মোড়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়। সমাবেশ চলাকালে সদরের হিন্দুপাড়াগুলোতে বর্বরোচিত হামলা চালায়। এই ঘটনায় অজ্ঞাত নানা এক হাজার জনকে আসামে করে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ নয় জনকে আটক করেছে।