নাসিরনগরের শ্রীঘর গ্রাম এখন চোরাই গরু জবাইয়ের অভয়ারণ্য ও কসাইখানা: অন্তরালে দুই জন প্রতিনিধি
নাসিরনগর,(ব্রাক্ষণবাড়িয়া)সংবাদদাতাঃ শ্রীঘর শব্দের অভিধানিক অর্থ কারাগার।নামটি শুনলেই গা শিউর উঠে। নামের সাথে বাস্তবের মিল রয়েছে এ গ্রামটিতে।এ গ্রামটি এখন পরিণত হয়েছে চোরাই গরু জাবাইয়ের কসাইখানা ও কারাগারে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শত শত চোরাই গরু এ গ্রামের এনে কয়েক জন কসাই মিলে রাতের আধারে জবাই করে করে শ্রীঘরের দুই বাজার সহ বিভিন্ন অনুষ্টানে ।তাদের সহযোগিতা করে স্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতা ও প্রভাবশালী ব্যাক্তিা।
শুক্রবার দুটি চোরাই গরু সহ হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার মহিষ চুরির মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ভুক্ত আসামী আসু কসাইকে গ্রেপ্তার করে নাসির নগর থানা ুুপুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপ-পুলিশ পরির্দশক মো: মনিরুল ইসলাম ভূঞা সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শ্রীঘর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে বিভিন্ন বাড়ি থেকে কাল রঙ্গের একটি চোরাই গর্ববতীৃ গাভী ও কাল একটি ষাড় গরু উদ্ধার করা হয়।
তার দেয়া তথ্য মতে ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায় আসু কসাই ছাড়াও শ্রীঘর দক্ষিণ বৌ বাজারে এ গ্রামের সিরাজ তালুকদারের ছেলে মোঃ মনির তালুকদার,মতি মিয়ার ছেলে মোঃফজু মিয়া,বাছির মিয়ার ছেলে মোঃ ইব্রাহিম(তোতামিয়া),হাসু মিয়ার ছেলে মোঃ জুলুস মিয়া,বসু মিয়ার ছেলে মোঃ জাকির মিয়া,মোঃ আবছর উদ্দিনের ছেলে মোঃ আওয়াল মিয়া,বাঘ বাড়ির মোঃ জাকির মিয়া সহ আরো বেশ কিছু লোক মিলে দীর্ঘ দিন যাবৎ দুই বাজারে চোরাই গরু জবাই ও মাংস বিক্রির ব্যবসা করে আসছে। তারা আরো জানান তাদের কাছে রয়েছে বিভিন্ন বাজারের অবৈধ গরু কেনা বেচার রশিদ।
প্রতক্ষ্যদর্শীদের তথ্য মতে, উল্লেখিত কসাইরা মাঝ রাতে গরু জবাই করে ফজরের নামাজের আগেই চামড়া অন্যত্র সরিয়ে ফেলে এবং ভোরে মাংস বিক্রি শেষ করে দেয়। প্রতিটি গরু থেকে ৫ হতে ১০ কেজি মাংস ও গরুর গিলা কলিজা চলে যায় দুই জন প্রতিনিধি ও তাদের এক চাচার ফ্রীজের ভেতরে বলে কসাই মোঃ আসু মিয়া সহ আরো বেশ কিছু লোকজন এ প্রতিনিধিকে জানায়।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে আসু কসাই ও তার লোকজন মিলে বিভিন্ন বাড়ির বিয়ের অনুষ্টানের মাংসের অর্ডার সংগ্রহ করে তাদের বাড়িতে নিয়ে চোরাই গরু জবাই করে দীর্ঘদিন যাবৎ মাংস বিক্রি করে আসছিল।সুত্র জানায় আসু কসাই ও তার লোকজন মিলে শ্রীঘর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সত্তর মিয়ার বিয়ের অনুষ্টানে ৩ মন, ইসরাইল মুনসির ছেলে মোঃ ইয়াছিন মিয়ার বাড়ির অনুষ্টানে ২ মন ৩০ কেজি,ঠান্ডু মিয়ার ছেলে মোঃ তাউজ মেম্বারের বাড়িতে ১০০ কেজি,আব্দুল হামিদের ছেলে মোঃ হিরাজ মিয়ার বাড়িতে ১২০ কেজি,আল্লাদ মিয়ার ছেলে মোঃ সামসুল হকের বাড়িতে ১০০ কেজি,বাছির মিয়ার ছেলে মোঃ আবু তাহেরের বাড়ির অনুষ্টানে ১২০ কেজি করে আরো বহু বাড়িতে মাংস সরবরাহ করার কথা শোনা যাচ্ছে ।সুত্র আরো জানায় বাগ বাড়ির সোলমান মিয়ার ছেলে মোঃ জাকির মিয়া,মোল্লা বাড়ির আমীর উদ্দিনের ছেলে মোঃ আওয়াল মিয়া,কালা বাড়ির জাহির ইসলামের ছেলে মোঃ সফিক মিয়া ও আসুর ভাই মোঃ রশিদ মিয়া,মুতি লালের ছেলে মোঃ ছায়েদ মিয়ার ঘরে ছিল আসু কসাইর চোরাই গরু রাখার আস্তানা।থানা পুলিশ কোন কসাইকে গ্রেপ্তার করলে অপরাধীদের ছাড়িয়ে নিতে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের শুরু হয় তদবীর ও দৌড়ঝাপ।