নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় প্রশাসনের সিসি ক্যামেরা স্থাপন



এম.ডি,মুরাদ মৃধাঃনাসিরনগর সংবাদদাতা:: নাসিরনগরে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদের নিরাপত্তা ও রাতে অগ্নিসংযোগ ঠেকাতে সদর উপজেলাকে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এ ব্যপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন এ প্রতিনিধিকে বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনদের নিরাপত্তায় উপজেলার গুরত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পুলিশ। ইতোমধ্যে ১৪টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৫টি ক্যামেরা স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। তবে প্রয়োজন হলে আরো বাড়াতে পারে।
তিনি আরো জানান, নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার পরে এলাকায় জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে। তাই আগুন সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে ও হিন্দু সম্প্রদায়সহ এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি পুলিশের নজরদারিতে আনার জন্য এসব ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ কয়েকটি স্থাপনা ও উপজেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় এসব ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। বর্তমানে নাসিরনগরের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকার হিন্দুসহ অন্য সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে উঠান বৈঠক করে তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চলছে। তাছাড়া এলাকায় এখনো পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
গত ২৯ অক্টোবর ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরীফ নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র করে পোস্ট দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৩০ অক্টোবর দুষ্কৃতিকারীরা নাসিরনগর উপজেলা সদরে তান্ডব চালায়। এসময় দুষ্কৃতিকারীরা উপজেলার অন্তত ১০টি মন্দির ও ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এরপর ৪ নভেম্বর ভোরে ও ১৩ নভেম্বর আবারো উপজেলা সদরে হিন্দু সম্প্রদায়েরর অন্তত ৬টি গোয়ালঘর ও রান্না ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানায় পৃথক সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত ৮৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।