নাসিরনগরে ভূয়া ডাক্তার গ্রেপ্তার, পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা



এম.ডি.মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর প্রতিনিধিঃ ডাক্তার এম.ডি মাজহারুল ইসলাম। তিনি চক্ষু বিশেষজ্ঞ। তিনি নরসিংদি বিবেক চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলে পরিচয় দেন। তিনি সহ তার ৪ সহযোগী মিলে নাসিরনগরে দীর্ঘ দিন যাবৎ ভুয়া বিশেষজ্ঞ সেজে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছে। ঘটনাটি ঘটেছে নাসিরনগর সদর ইউনিয়নরে দাঁতমন্ডল গ্রামে।
গত মঙ্গলবার সারা দিন এবং বুধবার সকালে গ্রামে মাইকিং করে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে বিনা মূল্যে চক্ষু সেবা দেয়া হবে। গ্রামের সহজ সরল মানুষ দলে দলে আসে তাদের কাছে চিকিৎসা নিতে। বিষয়টি দাতমন্ডল গ্রামের কিছু যুবকের দৃষ্টিতে সন্দেহ হয়। তাই তারা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিয়াকত আলীকে জানান। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ তিনি এলাকায় গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় সপোর্দ করে।
গ্রেপ্তারকৃত ভুয়া ডাক্তার মোঃ মাজহারুল ইসলাম নরসিংদির বেলাবো গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। তার সহযোগীরা হল রায়পুরার কালিকাপুর গ্রামের আবদুল মোতালিবের ছেলে গোলাম মোস্তফা(৪০),ভৈরব উপজেলার জাফরনগর গ্রাামের মৃত হাজ্বী নুরুল ইসলামের ছেলে আজাহারুল ইসলাম(৫৫),ভৈরবের মানিকদী গ্রামের কাঞ্চন মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান(৩৮)কে নিম্নমানের ওষুধ ও সরঞ্জামসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ত্যেকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ের তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলী দন্ডাদেশ প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরে জব্দ করা নিম্নমানের ওষুধ ও সরঞ্জাম ধবংস করা হয়। বিকালে তাদেরকে নাসিরনগর থানায় সোর্পদ করা হয়।
উল্লেখ্য যে,প্রতারক চক্রটি গত দুমাস যাবৎ নাসিরনগরের বিভিন্ন ইউনিয়নরে সরকারী স্কুলগুলাতে এভাবে চক্ষু চিকিৎসা দেয়ার নামে প্রতারনা করে আসছে। তারা কুন্ডা,গোকর্ণ,কুলিকুন্ডা,ভলাকুট,বাঘী,হরিপুর,নরহা,মহিষবেড়,আতুকুড়া সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে ভুয়া চিকিৎসা দেয়া হত।