নাসিরনগরে চলছে সরকারি জমি দখলের মহোৎসব
নাসিরনগর,সংবাদদাতাঃ:ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগর কৃষি অফিসের জায়গা জোরপূর্বক রাতের আধাঁরে টিন সেড ঘর তৈরি করে দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে। উপজেলা সদরে বিএডিসি গোডাউনের পিছনে ১৯৪০ দাগের জায়গার উপর। জানা গেছে উক্ত দাগের ২০ শতাংশ জায়গার মালিক উপজেলা কৃষি সম্পদ অধিদপ্তর। উক্ত অধিদপ্তর দীর্ঘ দিন যাবত জায়গার খাজনা পরিশোধ করে আসছে। এলাকার কিছু ভূমি দস্যু গোকর্ণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের থানার মামলা লেখক ও বিএনপি কর্মী মো: আলাউদ্দিন, মো: রুনাল, জাতীয় পার্টির কর্মী মো: আক্তার মিয়া ও উপজেলা সদরের মো: আক্কাছ বাবুর্চি মিলে একই দাগের ২১ শতাংশ ভূমির উপর দলিল সৃজন করে দখল করে।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে দখলদার মো: আলাউদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন জায়গাটির সিএস মূলে প্রকৃত মালিক জমিদার কুমার কমলা রঞ্জন রায়। তিনি পরে তারিনি ধূপীকে দান করে দিলে তার নামে আর ও আর হয়। বিএস হয় তারিনির ছেলে রঞ্জিত ধূপীর নামে। তাদের অবর্তমানে রঞ্জীত ধূপীর পাচঁ ছেলের নিকট থেকে আমরা দলিল করি। দলিল মূলে জায়গাটির মালিকানা দাবী করেন তিনি।
ওই ঘটনা স্থানীয় সাংবাদিকরা জনতে পেরে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমিকে অবহিত করলে প্রশাসনের টনক নড়ে। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা তাদের জায়গা মাপজোক করে আরও চার শতক ভূমি বেদখলে আছে বলে জানতে পারেন। সরকারী জায়গার উপর উঠানো ঘরটি এখনো উচ্ছেদ হয়নি বলে জানা গেছে। তাছাড়াও উপজেলা খাদ্য গোদামের সামনে প্রায় কোটি টাকার সরকারী সম্পত্তি পাচঁ ছয় জন ভূমি দস্যু মিলে ৯৯ বছরের লিজ এনে দখলের চেষ্টা চালায়। ওই ঘটনা স্থানীয় বাজার ব্যবসায়িরা মাননীয় মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হককে অবগত করে। পরে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে লিজটি বাতিল করা হয়।
কৃষি অফিসের বেদখলকৃত জায়গার বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুনসি তোফায়েল আহাম্মদ ও সহকারী কমিশনার ভূমি মো: জাকির হোসেন জানান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ সাংবাদিকদের জানান ঘরটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য অবৈধ দখলদারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।