Main Menu

নাসিরনগরে এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়: এবারও শীর্ষে সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

+100%-

এম.ডি.মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর হতে। নাসিরনগরের একমাত্র সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ নাসিরনগর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। গত বছরের ন্যায় এবারও এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটেছে। এ বছর সরকারী বিদ্যালয়টি হতে মোট ১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। পাশ করে ৫ জন। ফেল করে ১০ জন। গত বছর তাদের ফলাফলের শতকরা হার ছিল ৪৩.৭৫ এবার ফলাফল আরো খারাপ হয়। এবার ফলাফল ৩৩.৩৩।
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট(এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে নাসিরনগর উপজেলা হতে এক হাজার ছয়শত সাতান্ন জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে এক হাজার একশত ১৬ জন কৃতকার্য হয়। অকৃতকার্য হয় পাচঁশত একচল্লিশ জন। ৬ মে দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ফলাফল বিশ্লেসনে এ তথ্য জানা যায়।
নাসিরনগরে মোট ১৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭টি বিদ্যালয়ের মাত্র ১৮জন জিপিএ+৫ পেয়েছে। ফান্দাউক পন্ডিত রাম উচ্চ বিদ্যালয় হতে জিপিএ+৫ পেয়েছে ৩জন, আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে ৩জন,গোর্কণ ষৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজ হতে ২জন, ভলাকুট কে.বি উচ্চ বিদ্যালয় হতে ২জন,চাতলপাড় উচ্চ বিদ্যালয় হতে ৬জন, বড়নগর উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১জন, হরিণবেড় উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১জন।
এদিকে নাসিরনগরের একমাত্র সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ নাসিরনগর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ফলাফল বিপর্যয় নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ বিপর্যয়ের জন্য প্রধান শিক্ষক ও শ্রেণি শিক্ষকদের দায়ী করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, স্কুলে কোন শিক্ষক আসতে চায়না। কারণ কিছু শিক্ষক আছেন যারা এটাকে পারিবারিক সম্পত্তি বানিয়ে রেখেছে। শিক্ষক আসলেও তাদের অত্যাচারে সবাই চলে যায়। প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহারের খারাপ আচরণের জন্য এমনটি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
অপর একজন অভিভাবক জানান,স্কুল দুপর হলেই বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন স্কুলের সময় ৯টা হতে ৪টা পর্যন্ত হলেও এই স্কুলে নেই কোন সরকারী নিয়ম নীতি। প্রধান শিক্ষকের আইন-ই হল সকল আইন।
এ ব্যপারে নাসিরনগর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কামরুন্নাহারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেন, ্ স্কুলটি বছরে প্রায় ৪ মাস বন্ধ থাকে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খুব সমস্যা হয়। ফলাফল বিপর্যয় নিয়ে তিনি জানান, জেলা প্রশাসক মহোদয় এ বিদ্যালয়ের ফলাফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক বৃন্দকে আগামীকাল জেলা অফিসে গিয়ে দেখা করার নির্দেশ প্রদান করেন।






Shares