সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপি প্রার্থী একরামুজ্জামান
‘গায়েবী মামলা দিয়ে নির্বাচন হতে দূরে সরাতে পারবে না’
নাসিরনগর সংবাদদাতা:: বিএনপি সমর্থিত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এস.কে এরামুজ্জামান বলেন,গায়বী মামলা দিয়ে নেতা কর্মীদের জেলে ভরে দিলেও আমাদের শক্তি কমবেনা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন তারা যত চেষ্টাই করুক আমাদেরকে নির্বাচন হতে দূরে সরাতে পারবেনা। আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে যা দিবালোকের মত পরিষ্কার। খুব সুক্ষভাবে আমরা প্রচার প্রচারণায় বাধাগ্রস্থ হচ্ছি। গোয়লনগর হতে নির্বাচনী সভা শেষ করে নাসিরপুর সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। এমন সময় থানা থেকে বলল নাসিরপুর আওয়ামীলীগও জনসভা করবে। প্রশাসন আমাদের সেখানে জনসভা করতে দেয়নি। একটা বিমাতা সুলভ আচরণ পাচ্ছি। আমরা সাতটি দাবী করেছিলাম প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের একট দাবীও সরকার পুরণ করেনি। দাবী পুরণ হয়নি তার মানে এই না যে আমরা নির্বাচন হতে দূরে সরে যাব। আমরা নির্বাচনে আছি থাকব। আপনারা সাংবাদিকরা হলেন জাতীর বিবেক। আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে জানাতে চাই যে নাসিরনগরে নির্বাচনের লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই।
নাসিরনগর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে লিখিত বক্তব্যে উপরোল্লেখিত অভিযোগ করেছেন দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনিত প্রার্থী এস.এ.কে একরামুজ্জামান সুখন।
তিনি বলেন, আ’লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা উপজেলার প্রবেশদ্বার আশুতোষ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে বিশাল প্যান্ডেল করে নির্বাচনী ক্যাম্প, গুনিয়াউক-হরিপুর সড়কে তোরণ নির্মাণ, নিয়মিত বেপরোয়া ভাবে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে আচরনবিধি লঙ্গন করে চলেছে। ধানের শীষের গণজোয়ারে ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে পরিকল্পিত ভাবে বিএনপি’র নেতা কর্মীদের কৌশলে শাররীক নির্যাতন করা হচ্ছে। হেলমেট বাহিনী নিয়ে পুলিশ গভীর রাতে বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে। তল্লাশির নামে বসত ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করছে। ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হাজী তারেক মিয়াকে এলাকা ত্যাগ নতুবা জেলহাজতের ভয় দেখায়। তুল্লাপাড়া গ্রামের বাহার ও ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুরা গ্রামের নিরীহ ভোটারদের মারপিট করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া গত ১৮ ডিসেম্বর জাসাস আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া ও ১৯ ডিসেম্বর গুটমা গ্রামের ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান মজুকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে গায়েবী মামলায় জেলে পাঠিয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি এস এম শাফি মাহমুদ,উপজেলা বিএনপি’র সম্পাদক এম এ হান্নান, ও জেলা বিএনপি’র সদস্য মো.ওমরাও খান।