আমার প্রথম ও শেষ কথা, নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হতে হবে ::সিইসি কে.এম.নুরুল হুদা
এম.ডি.মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর হতেঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্ভর অথবা জানুয়ারী মাসের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে। সেখানে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এটা একটা মহড়ার মত। আপনারা এর আগে অনেকেই পুলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ভবিষৎএ আপনারা আরও দায়িত্ব পালন করবেন। বিভিন্ন পরিসরে নির্বাচন হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। এগুলাতেও আপনাদের সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন। এটা আপনাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং এটি সাংবিধানের একটা অংশ। ভোট গণনার ব্যাপারটি নিয়ে কিন্তু সবসময় অভিযোগ আসে। যারা পরাজিত হয় তারা প্রায়ই বলে আমাদের এজেন্ট ছিলনা। ভোট গণনা ঠিকমত হয়নি। ভোটার আসবে ভোটার যাবে। যাকে খুশি তাকে ভোট দিবে। আপনাদের দায়িত্ব হল ব্যালট পেপার হাতে নিয়ে সঠিক ভাবে ভোটটি দেয়ার ব্যাপরে নিশ্চিত করা। ভোটটি বাক্সের মধ্যে ঠিকতম পড়ল কিনা তাহা নিশ্চিত করা। অনেকক্ষণ সময় নষ্ট করল কিনা তাহা দেখা। আমি খুশি হয়েছি এখানে মহিলার সংখ্যা বেশি। আপনারা ভাল ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবেন। আপনারা ভালভাবে নির্বাচন পরিচালনা করলে আমারও সুনাম। আপনারা ব্যর্থ হলে আমি ব্যর্থ।
শুক্রবার(৯ মার্চ ) সকালে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১(নাসিরনগর)আসনে উপনির্বাচন উপলক্ষে পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান,আঞ্চলিক নিবার্চন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুন্নবী চৌধুরী,জেলা নিবার্চন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান,উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বি.এম মশিউর রহমান,সহকারী কমিশনার ভূমি উম্মে সালমা,উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ,অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আবু জাফর প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১(নাসিরনগর)আসনে উপনির্বাচন নির্বিঘ্নে করতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগকৃত এক হাজার ১৬৬ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাকে নির্দেশনামূলক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইলেকশন কমিশন। প্রথম দিনের ৭২৮জন পোলিং অফিসারের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।