আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোর পূর্বক ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি দখলের অভিযোগ
নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া) প্রতিনিধিঃ- মহামান্য উচ্চ আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকার পর ও অবৈধ ভাবে ও জোর পূর্বক ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ব্রহ্মণবাড়িয়া জেলার উপজেলার নাসিরনগর ডিগ্রি মহা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের মোঃ ছোয়াব রেজা, নাসিরনগর সদরের দুলাল চন্দ্র দেব, বুড়ীশ্বর ইউনিয়নের বুড়ীশ্বর গ্রামের মোঃ শাহআলম চৌধুরী, আশুরাইল গ্রামের মোঃ ছানাউল হক, মিলে ২মে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগকারীরা জানায়, নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের নাসিরনগর মৌজার হাসপাতালের পূর্বে ও ডিগ্রি মহা বিদ্যালয়ের পশ্চিমে সেঃ মেঃ সাবেক ২৫৯৮ হালে ৬৪৭৯ দাগের ১৬ শতক, সাবেক ২৫৯৫ হালে ৬৪৮১ দাগে ৬ শতক। সাবেক ২৫৯৫ হালে ৬৪৮৩ দাগে ১০শতক নাল ভূমি পৈত্রিক ওয়ারিশ ও খরিদা সুত্রে মালিক স্বত্ববান ও দখলকার তারা। বর্তমানে উক্ত জায়গাগুলো তাদের দখলে রয়েছে।
সম্প্রতি নাসিরনগর ডিগ্রি মহা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অন্যায় ভাবে জোর পূর্বক তাদের মালিকানাধিন জায়গার জোর পূর্বক দখলে নিয়ে বাউন্ডারী নির্মানের চেষ্টা করছে। অভিযোগকারীরা জানায় এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার মহামান্য উচ্চ আদালতের মামলা নং ১০৫ /২০১৪ চলমান আছে। মামলায় আদালত উক্ত ভুমির উপর চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
মহা বিদ্যালয় পরিচালা কমিটি উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে গায়ের জোরে মালিকানা জায়গা জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা করছে। অভিযোগকারী মালিকরা এ প্রতিনিধিকে জানায় তাদের শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নেওয়া হলে পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় বসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। ভূমির মালিকরা এ বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সহ আইন ও বিচার বিভাগীয় হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
এ বিষয়ে নাসিরনগর ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন প্রতিষ্ঠান কারো মালিকানা জায়গা জোর করে দখলের পক্ষে নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করেন।