Main Menu

নাসিরনগরে হামলা-ভাঙচুর!!

অন্যতম সন্দেহভাজনরা পুলিশী নজরদারিতে, সম্প্রীতি জোরদারে পিস প্রেসার প্রুপের উদ্যোগে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

+100%-

%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%b0এম.ডি.মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর সংবাদদাতাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার এক মাস পরও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জোরদার করতে প্রশাসনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক কর্মশালা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিস প্রেসার গ্রুপের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা খানম। কর্মশালায় হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্য, নারী সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যার দেওয়ান আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।

অন্যতম সন্দেহভাজনরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনায় দায়ের করা আটটি মামলায় ১০২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধরা না পড়লেও পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে অন্যতম সন্দেহভাজন ইন্ধনদাতারা। গতকাল বুধবার নাসিরনগর উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় লোকজনজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার সাথে জড়িত যাদের সন্দেহ করা হচ্ছে তাদের অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে এবং বাড়িঘর ছেড়ে প্রশাসনের আড়ালে চলে গিয়েছেন। সন্দেহের তালিকায় থাকা অন্তত ১০ জনকে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া চলছে।

উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের (ইউপি) জেলা আওয়ামীলীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাম ইউপি কার্যালয়ে নেই। ইউপি সচিব মনোরঞ্জন দেবনাথ জানান, ঘটনার পর এক দুই দিন তিনি ইউপি কার্যালয়ে আসলেও গত ১০ নভেম্বর থেকে এক দিনের জন্যও হরিপুরে আসেননি। মনোরঞ্জন দেবনাথ আরও জানান আতিকুর রহমান অসুস্থ তাই ঢাকায় বসেই তিনি দাপ্তরিক কাজগুলো সেরে নিচ্ছেন। হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় বাজারে রয়েছে দেওয়ান আতিকুর রহমানের আপন বড় ভাই দেওয়ান রুবেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়রা জানান গত ১০ নভেম্বর থেকে তিনিও গা ঢাকা দিয়েছেন।

রসরাজ দাসের বন্ধু আশুতোশ চন্দ্র দাসও ঘটনার পর থেকে ঢাকা দিয়েছেন। তিনি রসরাজ দাসের প্রতিবেশী। তিনি হরিণবেড় গ্রামের অনুকুল চন্দ্র দাসের (অনু মাষ্টার) ছেলে। আশুতোশ দাস উপজেলা একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে (পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক) হরিপুর ইউপির মাঠসহকারীর পদে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পর তিনি আর উপজেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হননি। অভিযোগ রয়েছে রসরাজের ফেসবুক আইডিটি খুলে দিয়েছিলে আশুতোশ দাস। এবং তিনি রসরাজের ফেইসবুক আইডিটির গোপন নম্বরটিও তিনি জানতেন। রসরাজ দাসের ফেইসবুক থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর ছবিটি পোস্ট হওয়ার পরদিন ক্ষমা চেয়ে দ্বিতীয় পোষ্টটি করেছিল আশুতোষ দাস এমন অভিযোগও উঠেছিল। বিভিন্ন সূত্র মতে জানা যায় আশুতোষ দাস ভারতের আগরতলা পালিয়ে গেছেন।






Shares