নাসিরনগরে সম্প্রীতি বজায় রাখতে বাউল গানের আসর
কিছু সংখ্যক দুস্কৃতিকারী বিনষ্ট করতে চায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে:: জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান
এম.ডি.মুরাদ,নাসিরনগর সংবাদদাতাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৩০ তারিখের অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রেক্ষিতে সম্প্রীতি বজায় রাখতে গতকাল বুধবার রাতে বাউল গানের আসর অনুষ্ঠিত হয়। নাসিরনগরের উপজেলাবাসীর আয়োজনে নাসিরনগর শ্রী শ্রী গৌর মন্দিরে বাউল গান অনুষ্ঠানের সভাপত্বি করেন ডা: শ্রীবাস দাস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রেজুয়ানুর রহমান,জেলা প্রশাসক,ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বিশেষ অতিথি মিজানুর রহমান, পিপিএম পুলিশ সুপার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।মোঃ ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।জাকির হোসনে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসিরনগর। রাজন কুমার দাস, সিনিয়র এএসপি(সদর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আব্দুল করিম, এএসপি,সদর সার্কেল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সোনিয়া পারভীন,এএসপি(ডিএসবি),ব্রাহ্মণবাড়িয়া।মো: আবু জাফর,অফিসার ইনর্সাজ,নাসিরনগর। মো: আবুল হাসেন,চেয়ারম্যান,সদর ইউপি।আদেশ চন্দ্র দেব,সভাপতি,হিন্দু বৌদ্দ ঐক্য খৃষ্টান পরিষদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন নির্মল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক গৌর মন্দির,নাসিরনগর।
আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জলা প্রশাসক রেজুয়ানুর রহমান,বলেন নাসিরনগরের সম্প্রীতি কেউ নষ্ট করতে পারবেনা। আপনারা ঐক্য ধরে রাখুন। আপনাদের পাশে প্রশাসন আছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, যারা এ দেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করেনা তারাই এ ঘটনার মূল হোতা। তিনি বলেন ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। তাই দেশের স্বার্থে জনগনের স্বার্থে আপনাদের পূর্বের সম্প্রীতি আপনাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আপনাদের মনে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা মুছে নতুন ভাবে শুরুর করতে হবে।
,
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মোঃ ইকবাল হোসাইন বলেন, অপরাধী যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হোকনা কেন তাদের প্রত্যেককে ধরে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করব। তিনি আরো বলেন যারা অপরাধী তারা সংখ্যালঘু। তারা দেশ এবং জাতীর শত্রু। তারা কেউ বাচঁতে পারবেনা। তবে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরীফ নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৩০ অক্টোবর দুস্কৃতিকারীরা নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দু পল্লীতে হামলা চালায়। এসময় দুস্কৃতিকারীরা উপজেলার অন্তত ১০টি মন্দির ও শতাধিক ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এরপর ৪ নভেম্বর ভোরে ও ১৩ নভেম্বর ভোরে দুস্কৃতিকারীরা আবারও উপজেলা সদরে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত ৬টি ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানায় পৃথক ৮টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাগুলোতে এখন পর্যন্ত ১০১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।