Main Menu

সাপের কামড়ে কিশোরের মৃত্যু : অভিভাবকের অভিযোগ চিকিৎসকের অবহেলা

+100%-

মোঃ আবদুল হান্নান, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঃ- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামে চেয়ারম্যান পাড়া মোঃ কাইয়ুম মিয়ার ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মোঃ হাসান (১২) বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় সর্প দংশনে মারা গেছে। জানা গেছে, বাড়ির পাশে আমন জমিতে ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান কুড়াতে গেলে গর্তের ভিতর থাকা খুবরা সাপ হাসানকে দংশন করে। লোকজন গর্ত থেকে সাপটিকে তুলে মেরে ফেলে। কামড়ের সাথে সাথে হাসানের হাতের উপর পরপর তিনটি বাঁধ দিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য নাসিরনগর হাসপাতালে নিয়া আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মাসুক আল মারজান (মারুক) তার হাতের বাঁধন ছেড়ে দিয়ে একটি সেলাইন ও একটি ইনজেকশন দেয়। সরেজমিন এলাকায় গেলে হাসানের পিতা কাইয়ুম মিয়া, রুছমত আলীর ছেলে তাইফুর মিয়া, মোঃ ফরুক মিয়াসহ উপস্থিত আরো লোকজন এ প্রতিনিধিকে জানান, হাসানকে সাপে দংশনের পরপরই চিকিৎসার জন্য নাসিরনগর হাসপাতালে নেওয়া হয়। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাসুক আল মারজান হাসানকে সাপে কামড়াচ্ছে বুঝতে নারাজ। ডাক্তারের দাবি হাসানকে ইঁদুরে কামড়াচ্ছে। অনেক কষ্ট করে ডাক্তারকে বুঝানোর পর। ডাক্তার হাসানকে একটি সেলাইন ও একটি ইনজেকশন ফোস করে। হাতের সমস্ত বাঁধন ছেড়ে দেয়। কিছুক্ষণ পরই হাসান বমি করতে শুরু করে। ডাক্তারকে এই খবর জানানোর পর ডাক্তার এসে তাড়াতাড়ি হাসানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সদর হাসপাতাল গেইটে যাওয়া মাত্রই হাসানের মৃত্যু হয়। হাসানের পরিবারসহ তাদের দাবি ডাক্তারের চিকিৎসা অবহেলার কারণেই হাসানের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১ টা সরেজমিন ফান্দাউক হাসানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির উঠানে হাসানের নিথর দেহ একটি চৌকির উপর শুয়ে আছে। চারপাশে পর্দা দিয়ে ডাকা। এখনো লাশ দাফন করা হয়নি কেন, জানতে চাইলে? তারা জানান, একজন কবিরাজ (মামু পাগলা) তাকে সুস্থ্য করার জন্য চিকিৎসা করছে। হাসানের পাশেই মৃত সাপটিকে রাখা হয়েছে। তারা আরো জানান, হাসানকে চিকিৎসা করে সুস্থ্য করে তুলতে চাপরতলা গ্রামের অহিদ হোসেনের স্ত্রী উজা রাবিয়া ও এসেছে। কথা হয় রাবিয়ার সাথে। হাসানকে সুস্থ্য করা যাবে কি না জানতে চাইলে উজা রাবিয়া জানান, তার সাথে মেহমান (জ্বিন) আছে বলে জানান। তিনি বলেন তারা শনি ও মঙ্গলবার আসে। তাদের সাথে কথা না বলে ভাল করা যাবে কিনা বলা যাবে না। তিনি আরো বলেন যেহেতু মামু পাগলা চিকিৎসা করছে তার চিকিৎসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি এই রোগীতে হাত দেব না। মোবাইল ফোনে কথা হয় ডাক্তার মাসুক আল মারজানের সাথে। ডাক্তারের অবহেলা হাসানের মৃত্যু হয়েছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, যারা হাসানকে নিয়ে এসেছিল তারা কেহ বলতে পারছে না, হাসানকে সাপে কামড়াচ্ছে। তবে ইনজেকশন ও সেলাইন দিয়ে রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। হাসানের অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আবদুল কাদের জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানি না এবং কেউ আমাকে অবগত ও করেনি।






Shares