Main Menu

নাসিরনগরে দু পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সামাজিক বিচারে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার আশুরাইল গ্রামে সাবেক মেম্বার করিম ও বর্তমান মেম্বার ফরিদ মিয়ার লোকজনের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় ৯ আগষ্ট শনিবার সকাল  দশ ঘটিকায় নাসিরনগর সদরে ওয়াজ্জিল চৌধুরীর বাড়িতে  নাসিরনগর ও লাখাই দুই উপজেলার গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে  এক শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে করিম মেম্বার পক্ষের লোকজন দোষী সাব্যস্থ হয়। বিচারকরা  সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার খরচ বাবদ করিম মেম্বার পক্ষের লোকজনের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং  করিম মেম্বারের লোকজন,ফরিদ মেম্বারের লোকজন ও শালিশ কারকদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে। ২৮ জুলাই সোমবার সকাল ৯টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত  একটানা এক ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে  প্রায় দুই শতাদিক লোক আহত হয়। এ সময়ে সংঘর্ষকারীরা ব্যবসায়ীর নগদ  ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে এ ঘটনার সুত্রপাত বলে জানা যায়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে নাসিরনগর থানা পুলিশ ২৭ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ব্যবহার করে। কিছুদিন পূর্বে চট্রগ্রামে দুই কারখানার শ্রমিকদের মাঝে ফুটবল খেলা হয় । সেখানে খেলাকে নিয়ে দু পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়। পরে কারখানার মালিক আহাম্মদ সহ অন্যান্যরা তা সেখানেই  মীমাংসা করে দেয়। সোমবার কারখানার মালিকরা আশুরাইলের শ্রমিকদের নিয়ে চট্রগ্রাম থেকে নাসির নগরে পৌছা মাত্রই শ্রমিকরা দ্রুত দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে মালিকদের মারপিট করার জন্য আশুরাইল রাস্তার উপরে দাড়িয়ে থাকে । এই খবর  জানতে পেরে  মালিক আহাম্মদ আলী নাসির নগর থেকে তার নানার বাড়ি আশুরাইলে মোবাইল ফোনে  খবর দেয়।খবর পেয়ে আহাম্মদ আলীর নানার বাড়ির লোকজন রাস্তায় এসে লাটিসোটা হাতে নিয়ে মোঃ সবীর মিযা .মোঃ কবীর মিয়া মোঃবসীর মিয়া,মোঃ শাহিজুল মোঃ মহিজুল সহ আরো ১৫/২০ জনকে দেখতে পায়॥ পরে তার ঘটনাটি কি জানতে চায় । এ সময়ে লাল মিয়া মাস্টারের ছেলে মোঃ নুরে আলম ও ক্বারী মোঃ রমজান মিয়া কিছু হবে না বলে নিশ্চয়তা দিলে তারা নাসির নগর থেকে রওয়ানা দেয় ।আশুরাইল হাজীমোঃ বরজু মিয়ার বাড়ির নিকটে যাওয়া মাএই পুর্ব থেকে ওৎপেতে বসে থাকা দাঙ্গাবাজরা সি এন জি র গতিরোধ করে আহাম্মদ আলী তার ছোটভাই মোঃ মোস্তফা কে বেদম পেটাতে শুরু করে।হামলাকারীরা কারখানা মালিকদের সাথে থাকা ব্যবসার নদগ ৪ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয় ।ওই ঘটনায় গ্রামের উভয়পক্ষের লোকজনের মাঝে চড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে  লিপ্ত হলে একঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ২০০শতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের মাঝে মুমূর্ষ অবস্থায় তিন জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় ।অন্যান্যদের নাসির নগর হাসপাতালে চিকিৎসা ভর্তি ও আশপাশের বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় ।






Shares