নাসিরনগরে দপ্তরি নিয়োগে অনিয়ম, প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে বাদ দিয়ে জুয়ারীকে সমর্থন
নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ- এ কেমন নিয়ম, নিয়োগের পরিবর্তে দলীয় লোকের গোপন নির্বাচন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কাহেতুরা ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি নিয়োগে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে কাহেতুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, উপজেলা চেয়ারম্যান এটি এম মনিরুজ্জামান সরকারের নির্দেশে কাহেতুরা গ্রামের মোঃ আবুল হাসানকে দপ্তরি নিয়োগ দেওয়া হয়্। তাতে বাধ সাধে সরকার দলীয় ইউনিয়ন নেত্রীবৃন্দ। দলীয় পরিচয় ধারী কিছু সংখ্যক নেতা উক্ত নিয়োগকে বাদ দিয়ে মোঃ আল আমিনকে দপ্তরি নিয়োগে গোপন নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার জোর চেষ্টা চালায় বলে জানা গেছে। শনিবার দপ্তরি নিয়োগ নিয়ে কুন্ডা ইউনিয়ন দলীয় নেতা কর্মীরা এক নির্বাচনের আয়োজন করে। কিন্তু আবুল হাসান ও তার পক্ষের আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ ওয়াছ আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা হামিদা লতিফ পান্না, কুন্ডা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ লতিফ হোসেন, এডভোকেট মুজিবুর রহমান অনুপস্থিত থেকে উক্ত নির্বাচন ও আল আমিনের নিয়োগ মানতে নারাজ। অপর দিকে বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাননীয় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রীর ২০জুন তারিখে সুপারিশকৃত স্কুলের জমি দাতার আতœীয় প্রতিবন্ধী সেম্বু দেবনাথ এস এস সি পাশকে বাদ দিয়ে অনিয়মের মাধ্যমে স্কুলে না পড়–য়া জুয়ারী মোঃ হাসান খান প্রতিবেশী গুনিয়াউক স্কুল থেকে আনা ৮ম শ্রেণী পাশ সার্টিফিকেট ধারীকে নিয়োগ দেওয়ার জোর চেষ্টা চলছে বলে ও অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে হাসান খাঁন একজন কুখ্যাত জুয়ারী। তা ছাড়াও হরিপুর ইউনিয়নের নরহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী নিয়োগে অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে। লক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন দাস ও এস এম সি কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ ছফিল উদ্দিন ও অপর দিকে কাহেতুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিব ও এস এম সি সভাপতি মোঃ মাহমুদা বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে নিয়োগ দুটি সমন্ধে জানতে চাইলে তারাও এ নিয়োগ মানতে নারাজ। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রবিউল আলমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমার কিছুই করার নেই। এ বিষয়ে নাসির নগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলেফোন রেখে দেন। উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানাগেছে গত বছর এ উপজেলা ২৩ জন দপ্তরী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । এ বছর ২৯ জন দপ্তরী নিয়োগ পক্রিয়াধীন রয়েছে । এরই মাঝে দপ্তরী নিয়োগে অনিয়মের খবর শোনা যাচ্ছে।