নাসির নগর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে ব্যাপক অনিয়মই নিয়ম
মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে অনিয়মই নিয়ম । যেখানে নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা নেই ।করে গুরুতর অপরাধ সিনিয়রদের টাকা দিলেই পাওয়া যায় মাপ। দীর্ঘ দিনের এমন অভিযোগ ফান্দাউক পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রনতি বালা দাসের বিরোদ্ধে ।সরকারী নিয়ম ভঙ্গ করে মাসিক এম আর রির্পোট পুরন না করে অবৈধ এম আর, এ্যাবরশন,মীয়াদোর্ত্তীণ ওষধ বিরন,রোগী ও সাধারণ মানুষের সাথে র্দুব্যবহার এবং অসৎ আচরন,সরকারী বরাদ্বকৃত ওষধ বিতরন না করে মজুদকরণ,গুরুতর অপরাধ করে সিনিয়রকে টাকা দিয়ে বশীকরন ,সাধারন মানুষ এমনকি সাংবাদিককে লাঞ্চিতকরন সহ নানা অভিযোগ ।২৩ ফেব্রূয়ারী প্রনতিবালা দাস নাম পরিচয়হীন একটি এ্যাবরশন করে প্রায় আট মাসের একটি নিস্পাপ শিশুর লাশ ফান্দাউক স্মশ্বানের নিকট ফেলে দিলে ব্যপক হৈ চৈ পড়ে।পড়ে সাংবাদিকরা প্রনতিবালা দাস কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি তার সিনিয়র ভিজিটরের সামনে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে এ্যবরশনটি করেছে বলে স্বীকার করে ।২৫ ফেব্রƒয়ারী জনৈক সাংবাদিক প্রনতিবারা দাসের এরূপ অপকর্মের সুবচিার প্রার্থনা করে মেডিকেল অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন ।পরে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে বেপরোয়া হয়ে উঠে প্রনতি ।পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও অভিযোগের প্রায় ২০ দিন পর সাংবাদিকের নামে আমার জেলা নামক স্থানীয় পত্রিকায় মিথ্যা প্রতিবাদ দিয়ে জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে মিথ্যা ,ভিতিÍহীন, মানহানিকর ,কাল্পনিক অভিযোগদাখিল করে ।পরে অভিযোগটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এ এস আই মোঃ ময়নাল হোসেনের তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হলে সেখানে লিখিত দিয়ে আসেন প্রনতি ।পহেলা বৈশাখ সাংবাদিক হান্নান দায়িত্ব পালন করতে ফান্দাউকে গেলে মরণ ঘোষের মিষ্টির দোকানে গিয়ে সাংবাদিকের উপর চড়াও হয় প্রনতি ।সাংবাদিককে শুরু করে অকথ্য ভাষা গালাগাল ।প্রস্তুতি নেয় সাংবাদিককে শারীরিক নির্যাতনের ।হুংকার ছুড়ে বলে সাংবাদিককে ফাসিয়ে দিবে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় ।সেদিন উপস্থিত লোকজনের সহায়তা প্রনতির নির্যাতন থেকে প্রাণে রক্ষাপায় সাংবাদিক।প্ের স্থানীয় প্রায় ৫৮ জন লোক মিলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রনতির বিরোদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে ।পহেলা বৈশাখের ঘটনায় মেডিকেল অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন উভয় পক্ষকে ৮ও ২ মে নোটিশের মাধ্যমে তার কার্যালয়ে ডাকেন ।সাংবাদিক দুই দিন উপস্থিত থাকলেও সেখানে একদিন ও উপস্থিত হয়নি প্রনতি ।৫৮ জনের অভিযোগের ভিত্তিতে ২ মে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক অরবিন্দ দত্ত,মেডিকেল অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন তদন্তের জন্য ফান্দাউকে আসেন ।তখন সেখানে ২/ত শ লোক জড়ো হয়ে খুনী প্রনতির বিচার চাই,শাস্তি চাই ,বদলী চাই দাবীতে মিছিল দিতে থাকে ।তদন্ত কালীন সময়ে ফান্দাউকের প্রায় ৩০/৪০ জন লোক প্রনতির যাবতীয় অপকর্মের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তদের মৌখিক ও লিখিত ভাবে জানান ।এ সময়ে পিয়াস নামক এক ক্যামেরাম্যান ভিডি ও করতে গেলে তদন্ত কর্মকর্তাদের ও উপস্থিত লোকজনের সামনে পিয়াসকে অকথ্য ভাষা গালাগাল শুরু করে প্রনতি ।এ বিষয়ে মেডিকেল অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান,প্রনতি বালা দাসের এ অপকর্মের বিচার না করার জন্য প্রনতি সিনিয়র ভিজিটর মাহানুর ওসমানীকে সাথে নিয়ে আমাকে ও ২ হাজার টাকা দিতে ঘুষ দিতে চেয়েছিল ।ঘুষ নিলেন না কেন ?জিজ্ঞেস করলে ,তিনি বলেন আমি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনা এবং ঘুষ খাইনা, তাই ঘুষ নেইনা।জাহাঙ্গীর আলম বলেন আমি প্রনতিকে জিজ্ঞেস করি আপনি আমার অধীনে চাকুরী করে আমাকে এবং ডিডি স্যারকে কিছু না বলে সাংবাদিকের বিরোদ্ধেজেলা পুলিশ সুপার সহ বিভিন্ন জায়গা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন কেন ?প্রনতি তখন কান্না জনিত কন্ঠে তাকে জানান স্যার আমি কিছুই জানিনা !সিনিয়র ভিজিটর আমাকে পরামর্শ দিয়ে সাংবাদিকের বিরোদ্ধে এসমস্ত অভিযোগ করিয়েছেন।আপনি আমাকে এবং এসিসট্যান্ট মেডিকেল অফিসারকে জানালেন না কেন? জানতে চাইলে, প্রনতি বলেন স্যার সিনিয়র ভিজিটর আপনাদের জানাতে দেয়না ।