নাসির নগরে গ্রেফতার আতংকে পুরুষ শুন্য নুরপুর গ্রাম
মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসির নগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার গোর্কন ইউনিয়নের চৈয়ারকুড়ি বাজারের নিকট মাধবপুর নাসির নগর রাস্তার উপর সিএনজি ষ্টেশনের দখল ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে, সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা সহ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ লুটপাটের ও দ্রুতবিচার আইনে পরপর তিনটি মামলায় গোর্কণ ইউপি চেয়ারম্যান সহ নুরপুর,লাহাজুড়া ও পুকুর পাড় ওই তিন গ্রামের পুরুষ মানুষ পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এরই মাঝে নাসির নগর থানার পুলিশ ২০ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে ।পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে ,চৈয়ারকুড়ি বাজারের উপরে সিএনজি ষ্টেশনের দখলের পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে জেঠা গ্রামের মোঃ সাজিদ মিয়া ও নুরপুর গ্রামের মোঃ এমরান মিয়ার মাঝে কথা কাটা কাটির এক র্পযায়ে ২৩ এপ্রিল সকালে দুই গ্রামের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ চলে ।
সকাল আটটা থেকে এক টানা বারোটা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে নাসির নগর থানা পুলিশসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের নেতৃত্বে দাঙ্গা পুলিশ ও ভৈরব ১৪ ক্যাম্পের র্যাব সদস্যরা সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ,উপজেলা চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার ,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আহসানুল হক, গোর্কণ ইউপি চেয়ারম্যান এম এ হান্নান সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গরা মিলে সংর্ঘষ নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে ।
ওই সময়ে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ২ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে । ওই সংঘর্ষের ঘটনায় জেঠা গ্রামের সাজিদ মিয়া, গোর্কণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান খসরু ও নাসির নগর থানার পুলিশ বাদি হয়ে দুটিতে গোর্কন ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নানকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে ।
চেয়ারম্যান এম এ হান্নান মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান যে, আমি বিএনপির রাজনীতি করি বলে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে ।
তিনি বলেন ঘটনার সময়ে পুলিশ ও র্যাবের সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে আমি ও প্রাণপণ চেষ্টা করেছি।তারপর ও আমাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের প্রতি অভিযোগ করেন তিনি।