সংবাদ প্রকাশের জের,সাংবাদিক হান্নানকে মিথ্যা অভিযোগে হয়রানীর চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফ,ডব্লিউ,ভি) প্রণতিবালা দাসের বিরোদ্ধে অবৈধ এম আর ও এবরশনের সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক দেশের পএের নাসির নগর উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নানকে মিথ্যাচার করে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
২৩ ফেব্রুয়ারী উক্ত পরিদর্শিকা আনুমানিক ৭ মাসের একটি অবৈধ এবরশন করে সাবেক এক আয়াকে দিয়ে ফান্দাউক শ্বশ্মনের নিকট খালের তলে শিশুর লাশ ফেলে রাখে ।২৫ ফেব্রুয়ারী হান্নান নিজে এর প্রতিকার চেয়ে মেডিকের অফিসার,পরিবার পরিকল্পনা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে ।মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীরআলম বলেন আগেও তার বিরোদ্ধে এ রুপ অভিযোগ পেয়ে ক্ষমাকরে দেয়া হয় । এ সময়ে সিনিয়র ভিজিটরকে অবগত করে উপপরিচালক পরিবার পরিকল্পনা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে ও মোবাইল ফোনে জানান হান্নান ।
উপপরিচালক বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন । জানা গেছে পরিবার পরিক্ল্পনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ পরিচালকের কার্যালয় থেকে প্রণতিবালা দাসকে ওই ঘটনায় সাত দিনের ভিতর কারন দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ১৩ মার্চ এই নিয়ে সাপ্তাহিক সাকিয়াত ও সাপ্তাহি পরগনা পত্রিকায় ,সংবাদ প্রকাশিত হয় ।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রনতি বালা দাসের বিরোদ্ধে অবৈধ এম আর ও এবরশন নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে ফান্দাউকে ব্যাপক হৈ চৈ শুরু হয় ।জানাগেছে ওই ঘটনার জের ধরে ৭১ টিভির সাংবাদিক পরিচয়ে বায়তুল নামক এক লোক প্রণতি বালা দাসের কাছে প্রথমে ১০হাজার পরে ৫ হাজার টাকা দাবী করে ।ওই রাতে প্রণতিবালা দাস সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নানকে ফোন করে কান্নাকাটি করে বায়তুলকে থামাতে অনুরোধ করে ।
প্রনতি বালা দাসের বিশেষ অনুরোধে সাংবাদিক হান্নান পরদিন সকাল ১০টায় তার ফান্দাউক অফিসে গেলে প্রনতিবালা দাস হান্নান কে বায়তুলের একটি নাম্বার দেয় । হান্নান সেই নাম্বারে ফোন করলে জসীম ফোন রিসিভ্ করে ।জসীম ফান্দাউক বাজারের একজন ব্যবসায়ী ।জসিম নিজেকে দৈনিক সন্ধ্যাবাণী পত্রিকা ও মানবাধিকার সংস্থা (আসকের)নাসিরনগর প্রতিনিধি বলে জানায় ।পরে হান্নান জসিমের দোকানে গিয়ে ফান্দাউকের মেম্ভার মোঃ আলমগীর ,ফরছু মিয়া সৈয়দ বাহাউদ্দিন খোকনসহ আরো বেশ কয়েক জনকে নিয়ে জসীমকে শাসিয়ে সাবধান করে দেন হান্নান, যাতে সে আর প্রণতিবালা দাসের কাছে কোন টাকা পয়সা না চায় ।প্রণতিবালা দাস তার সিনিয়র ভিজিটর ,মানবাধিকার সংস্থা (আসকের) পরিচালক এম এ কাদের ,সাংবাদিক হান্নান সহ অনেকের কাছে স্বীকার করেছে সে ১০হাজার টাকার বিনিময়েকাজটি করেছে ।যাহার রেকর্ড সংরক্ষিত ।পরে ওই ঘটনাকে ধামা চাপা দিতে১৯ মার্চ প্রণতিবালা দাস দৈনিক আমার জেলা পত্রিকায় সাংবাদিক হান্নানের বিরোদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট,উদ্দেশ্য প্রনোদিত কাল্পনিক মানসম্মান হানিকর এক প্রতিবাদ সংবাদ প্রকাশ করে ।পরে সাঙবাদিক হান্নান ৩০মার্চ এর প্রতিকার ও প্রণতিবালা দাসের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের অনুমতি চেয়ে উপপরিচারক ,পরিবার পরিকল্পনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে।যার অনুলিপি পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা চট্রগ্রাম বিভাগকে দেয়া হয়েছে ।