সততার বিজয় নাসিরনগরের প্রথম মন্ত্রী এড:ছায়েদুল হক
মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর প্রতিনিধি, ১৫ জানুয়ারী ২০১৪:
গর্বিত নাসিরনগরবাসী, গর্বিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাথে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগও। দায়িত্বে সচেতন, পরিশ্রমী, ন্যায় প্রতিষ্ঠা বিশ্বাসী, ধর্মের প্রতি যিনি অবিচল, আদর্শ, সৎ ও মেধাবী, তিনি হলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী এডঃ মোঃ ছায়েদুল হক। পল্লীর প্রত্যন্ত অঞ্চল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার এক সময়ে অবহেলিত পূর্বভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামে যার জম্ম। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পেশায় একজন আইনজীবি হলেও মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেন রাজনীতিতে। হয়ে উঠেন একজন বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। পরাজয়ের কাছে কখনো হার মানেননি তিনি। এ পর্যন্ত পাঁচবার নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। পালন করেছেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দায়িত্ব। এলাকায় সৎ মানুষ হিসেবে রয়েছে যার সুনাম ও সুপরিচিতি। স্বাধীনতার পর ১০টি নির্বাচনে উক্ত আসন থেকে তিনবার জাতীয় পার্টি, ২বার স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় লাভ করলেও আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে ৫বার বিজয়ী হয়েছেন তিনি। নবম সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে মহাজোট প্রার্থী হিসেবে এডঃ ছায়েদুল হক চারদলীয় জোটের প্রার্থী শিল্পপতি এস এ কে একরামুজ্জামান সূখন এর চেয়ে ১৪,৪৯৮ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হন। নবম সংসদ নির্বাচনে নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও যুক্ত হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ২টি ও সরাইলের ১টি সহ মোট ১৬টি আসনে ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৩৭ জন। নবম সংসদ নির্বাচনে এডঃ ছায়েদুল হক নৌকা প্রতীক নিয়ে ৯৯ হাজার ৮৮৬টি ভোট পেয়ে বিজয় অর্জন করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী শিল্পপতি এস এ কে একরামুজ্জামান সুখন পান ৮৫ হাজার ৩৮৮টি ভোট। প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী থেকে ১৪ হাজার ৪৯৮টি ভোট বেশি পেয়ে বিজয় লাভ করেন তিনি। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের শাসন আমলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। তিনি দীর্ঘদিন খাদ্য, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগর আসনে ১৩টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ১২৪ জন। পুরুষ ভোটার ৯৬ হাজার ৬ জন, মহিলা ভোটার রয়েছে ৯৩ হাজার ১১৮ জন। দশম সংসদ নির্বাচনে এডঃ মোঃ ছায়েদুল হক নৌকা প্রতীকে ৬৯ হাজার ৫৭৩ টি ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী রেজোওয়ান আহম্মেদ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৭ হাজার ৯১০ টি ভোট পেয়ে পরাজয় বরণ করেন। দীর্ঘ পাঁচ বার সরকারের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বিদ্যুতায়ন, সরকারী হাসপাতাল স্থাপন, নাসিরনগর বাসীর দীর্ঘদিনের কাংখিত সরাইল নাসিরনগর মহাসড়ক নির্মাণ, ফান্দাউক ছাতিয়াইন, তিলপাড়া চাপরতলা, নাসিরনগর মাধবপুর সড়ক নির্মাণ, নাসিরনগর চাতলপাড় রাস্তার অনুমোদন, খাদ্য গুদাম, মডেল থানা, ফায়ার ষ্টেশন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অনুমোদন, তার উন্নয়নের ফসল হিসেবে নাসিরনগর বাসী ভোগ করছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে রয়েছে তার বিরাট অবদান। পূর্বভাগ ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নে দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মাণ, দাঁতমন্ডল মাদ্রাসায় বিল্ডিং নির্মাণ সহ বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিল্ডিং নির্মাণ কালের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে। তাছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ বাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ফান্দাউক মোড়াকুরি সীমান্তে কাস্তি নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ তার অন্যন্য অবদান। এলাকার শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সেচ ব্যবস্থা, নদী খনন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে তার অবদান, উপজেলায় মাইল পলক হয়ে থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার সততা, বিশ্বস্থতায় অনুপ্রাণিত হয়ে দশম নির্বাচনে বিজয়ের পর বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দুটি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন থাকে। মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর নাসিরনগর বাসীর মাঝে বয়ে চলে আনন্দের বন্যা। শপথ অনুষ্ঠানের দিন নাসিরনগর সদর সহ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে খন্ড খন্ড আনন্দ মিছিল বের হয়। মিষ্টিও বিতরণ হয় কয়েক মণ। নাসিরনগরের মুজিব প্রেমিক লোকজন অসংখ্য ধন্যবাদ জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতি এডঃ মোঃ আব্দুল হামিদ সহ আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারকদের। এডঃ ছায়েদুল হককে মন্ত্রী নিয়োগ করায় জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখান বিভাগের অধ্যাপক ডঃ আলমগীর কবির তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন- আমার সুভাগ্য হয়েছিল নাসিরনগরের প্রথম মন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে। আমি প্রথমে গর্বিত নাসিরনগরের একজন বাসিন্দা হিসেবে পরে আনন্দিত আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার প্রিয় নেতা সততার দিশারী এডঃ ছায়েদ চাচাকে সঠিক মূল্যায়ন করার জন্য এবং নাসিরনগর বাসীকে তাদের প্রাপ্য সম্মান টুকু দেওয়ার জন্য। আমি মাননীয় মন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নান তার প্রতিক্রিয়া জানান আমরা নাসিরনগর বাসী অত্যান্ত আনন্দিত ও গর্বিত সৎযোগ্য নন্দিত পুরুষ মন্ত্রী এড: ছায়েদুল হকের মত নেতার জন্ম নাসিরনগর হওয়ায় ।