ভলাকুটে ওজনে কম দিয়ে ভিজিএফের গম বিতরণ!
এম.ডি.মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর সংবাদদাতা: নাসিরনগরের ভলাকুট ইউনিয়নে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ভিজিএফের গম বিতরণে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভলাকুট ইউনিয়নের অসহায় দুঃস্থদের মধ্যে আজ শনিবার এই গম বিতরণ করা হয়। অনিয়মের সুবিধার্থে ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা সামছু মিয়া তালুকদার সরকারি ছুটির দিনে ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতে সকালে গম বিতরণ শুরু করেন। সরকারি কর্মকর্তা না থাকার সুযোগে জনপ্রতি ১৩.২৭৫ কেজির স্থলে সাড়ে ১০ কেজি করে গম দেয়া হয়েছে ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভলাকুট ইউনিয়নের অসহায় দুঃস্থ মধ্যে ১৩.২৭৫ কেজি করে ভিজিএফের গম বিতরণের কথা ছিল ঈদের আগেই। গুদামে গমের সংকট থাকায় ইউনিয়নে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় ঈদের ছুটির পরেই তা বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ । সেই অনুযায়ী ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে আজ শনিবার বরাদ্দকৃত প্রায় ২১ টন গম বিতরণের কথা। কিন্তু ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিব সকালে ইউনিয়নের অসহায় দুঃস্থ এক হাজার ৫৯২টি পরিবারের মধ্যে গম বিতরণ শুরু করেন। চেয়ারম্যান ও সচিব জনপ্রতি ১৩ কেজির স্থলে সাড়ে ১০ কেজি করে গম বিতরণ করতে থাকলে দুঃস্থদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তা গণমাধ্যম কর্মীসহ উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে।
দুপুরে দেখা যায়,ভলাকুট বাজারের একটি দোকান ঘরে ১৩.২৭৫ কেজি গম নেয়ার জন্য অসহায় দুঃস্থরা দাঁড়িয়ে আছে। আবার অনেকে বস্তায় করে সাড়ে ১০ কেজি করে গম নিয়ে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ও গম নিতে আসা কয়েকজন অসহায় দুঃস্থ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সামছু মিয়া তালুকদার ও ইউপি সচিব মোঃ ওয়াসিম মিয়া নিজে দাঁড়িয়ে গম বিতরণ করছেন। চেয়ারম্যানের নিজের লোক দিয়ে একটি বালতিতে করে সাড়ে ১০ কেজি হারে অসহায় দুঃস্থদের মধ্যে দেয়া হয়।
মাপে গম কম দেয়ার বিষয়ে ভলাকুট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সামছু মিয়া তালুকদার বলেন, আমি সবাইকে ১৩ কেজি করে গম দিয়েছি। কাউকে কম দেয়া হয়নি। ১৩ কেজির স্থলে সাড়ে ১০ কেজি করে গম পেয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এসব অভিযোগ সঠিক নয়। এসময় উপস্থিত সচিব এবিষয়ে কোন সদোত্তর দিতে পারেনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিয়াকত আলী বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।