Main Menu

নাসিরনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার নার্স ও নিরাপত্তা প্রহরীর উপর সন্ত্রাসী হামলা, অগ্নিসংযোগ, আটক দুই

+100%-

মুরাদ মৃধা :  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার, নার্স ও নিরাপত্তা প্রহরীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা প্রহরী সায়েদ মোল্লাকে পিটিয়ে মারাত্বকভাবে জখম করে। মারধর করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। আহত নিরাপত্তা প্রহরী সায়েদ মোল্লাকে আশংকাজনক অবস্থায় রাতেই জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

গত (২৬ ডিসেম্বর) রাত এগারটার সময় নাসিরনগর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে নাসিরনগর থানা পুলিশ। আটক সমীর দাস উপজেলার সদর ইউনিয়নের নিরানন্দ দাসের ছেলে ও টিটু দাস উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের মতিলাল দাসের ছেলে। আহত নিরাপত্তা প্রহরী সায়েদ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের খুরশেদ মোল্লার ছেলে। সায়েদ ২০১৩ সাল থেকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।

হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, ২৬ ডিসেম্বর রাত এগারোটার সময় টিটু দাসের মা লক্ষী রানী দাসকে হাসপাতালে ভর্তি করে। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওয়াশ রুমে গিয়ে পড়ে যায় লক্ষী। ওয়াশ রুমে গিয়ে পড়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মদ্যপ অবস্থায় নার্সদের ডিউটি রুমে নার্স কুহিনুর আক্তারকে গালমন্দ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার শফিকুল ইসলাম এগিয়ে আসলে তাকেও লাঞ্ছিত করে। পরে ওই হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রহরী ডাক্তার ও নার্সকে লাঞ্ছিত করার কারণ জানতে চাইলে তাকে পিটিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। আশংকাজনক অবস্থায় ওই রাতেই নিরাপত্তা প্রহরী সায়েদ মোল্লাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতাল চত্বরে আগুন দেয় কয়েকজন দুর্বৃত্ত। স্থানীয়দের সহযোগীতায় আগুন নিভানো হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার অভিজ্যিৎ রায় বলেন, আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতালের ভেতর ডাক্তার,নার্স নিরাপত্তা প্রহরীকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। হাসপাতালে আগুনও লাগানো হয়। যদি সঠিক বিচার না পাই তাহলে আমরা ডাক্তাররা কর্ম বিরতীতে যাব। তবে এ ঘটনায় দুটি পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজিদুর রহমান বলেন, হাসপাতালের এক কর্মচারীকে মারধর, ডাক্তার ও নার্সকে লাঞ্ছিত করাসহ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আগুন দেয়ার কথা শুনেছি। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে মামলার প্রস্তুতিও চলছে।






Shares