নাসিরনগর ঘটনা ::মেজর জেনারেল (অব:)এ কে এম সফি উল্লাহ ,ক্যাপ্টেন তাজ ও আলেম উলামাদের নাসিরনগর পরিদর্শন
জেলার প্রশাসকের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে নগদ টাকা ও টিন বিতরণ
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল থেকে ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ সেক্টর কমান্ডের সভাপতি মেজর জেনারেল এ কে এম সফি উল্লাহ, ক্যাপ্টেন তাজ ও আলেম উলামাদের পরির্দশন।
ক্যাপ্টেন তাজ সোমবার ১১ঘটিকায় হেলিকাপ্টার যুগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করেন ।
মেজর জেনারেল এ কে এম সফি উল্লাহ ঢাকা থেকে পথে দুপুরে সরাইল বিশ্বরোড় মোড়ে সেফকো সিএনজি ষ্টেশনে পথ সভায় করেন। নেতারা পরির্দশন কালে বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ঐক্য হয়ে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে দেশটি স্বাধীন করেছি । এ দেশে সকল ধর্মের সমান অধিকার সংখ্যালঘু বলতে কোন কিছু নেয়। আরো বলেন দেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত দেশের ন্যায় এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত তখন ষড়ষন্ত্র করছে। মেজর জেনারেল এ কে এম সফি উল্লাহ নাসিরনগর এলাকায় পরিদর্শন আগে দুপুরে সরাইল বিশ্বরোড় মোড়ে সেফকো সিএনজি ষ্টেশনে পথ সভা করেন। তাঁর সংগে ছিলেন সেক্টর কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব, দপ্তর সম্পাদক মেজর শেখ দলিল উদ্দিন আহম্মদ,প্রচার সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা তোষার আমিন প্রমুখ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন তাজ সোমবার ১১ঘটিকায় হেলিকাপ্টার যুগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করেন। পরে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িঘর ও মন্দির পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলে তাদের শান্তনা দেন ও প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আশ্বাস দেন। পরে তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আলহাজ্ব এডঃ সায়েদুল হকের সাথে স্থানীয় ডাকবাংলায় সাক্ষাত করেন। এ সময় উপজেলার শতাধিক আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে জেলা থেকে আল্লামা মাওলানা আশেক এলাহি,আল্লামা সাজিদুর রহমান, মুফতি মোবারক উল্লাহ, আব্দুর রহিম কাশেমী,নোমান আল হাবেবী, মুফতি এলামূল হক, মুফতি বোরহান উদ্দিন কাশেমী,মাও: শামছু উদ্দিন,মাও: আব্দুর ছাত্তার, মাও:নাছির উদ্দিন জাফরি, মাও:মোমিনুদ্দিন দত্তবাড়ি ও গৌর মন্দির পরিদর্শন করে সহমর্মিতা প্রকাশ করে।
অপর দিকে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনার পর ভাংচুরের শিকার ক্ষতিগ্রস্থ ৫১টি পরিবারকে ঘর ও মন্দির মেরামতের জন্য নগদ টাকা ও টিন দেয়া হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান জেলা প্রসাশকের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ ১২টি পরিবারকে ৩ বান টিন ও নগদ ৯ হাজার টাকা। তাছাড়াও ৩৩টি পরিবারকে ২ বান করে টিন ও ২ হাজার করে টাকা প্রদান করা হয়। তিনি আরো জানান উপজেলার ৫১টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ঘর মেরামতের জন্য ১০২ বান টি ও নগদ ৩ লক্ষ ৬ হাজার টাকা জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে প্রদান করা হয়।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রসঙ্গ গত ৩০ অক্টোবর ‘ইসলাম অবমাননার’ অভিযোগ তুলে ১৫টি মন্দির ও দেড়শতাধিক হিন্দুদের বাড়িঘর ভাংচুর সহ লুট করেছে। গত ২৯ অক্টোবর নাছিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাসের ফেসবুকে ইসলাম অবমাননা করে পোষ্ট করলে সুএপাত হয়।