নাসিরনগরে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার : থানায় মামলা না করতে হত্যার হুমকী
মৃধা মুরাদ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে উপজেলার গোকর্ন ইউনিয়নের ব্রাহ্মণশাসন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছে দুই অভিযুক্ত। থানায় মামলা না করতে হত্যার হুমকী দিচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারকে।
মুমূর্ষু অবস্থায় ছাত্রীকে রাত দেড়টার দিকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার আশিক মুর্তজা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন। পরের দিন সকালে জেলা সদর হাসপাতালে মেয়েটিকে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বড় বোন শারমিন আক্তার বলেন, আমার বোন স্কুল থেকে ফেরার পথে প্রায়ই ফারুক মিয়া ও আজহারুল মিয়া উত্তেক্ত্য করত। ঘটনার দিনরাতে ভাত খেয়ে আমার ছোট বোন বাড়ির উঠানে হাঁটছিল। তখন ফারুক ও আজহারুল মুখে চেপে ধরে পাশের একটি পরত্যিক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। দীর্ঘ সময় ঘরে ফিরে না আসায় আমরা খুঁজতে বের হই। পাশের বাড়ির একজন বৃদ্ধ মহিলা পরিত্যক্ত ঘরের ভিতর শব্দ শুনতে পেয়ে দরজা খুললে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে আমার বোনকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার পরার্মশ দেন। তিনি আরো জানান, ইতোপূর্বে ফারুক একই গ্রামের ৪র্থ শ্রেণি ও ৯ম শ্রেণির দুজন ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। যা স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়।
অভিযুক্ত ফারুক মিয়া (২২) একই গ্রামের ছোবা মিয়ার ছেলে ও অপর অভিযুক্ত আজহারুল মিয়া (২০) একই গ্রামের মারাজ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনার পর এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছে দুই অভিযুক্ত।
গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছোয়াব আহম্মেদ হৃতুল বলেন, অভিযুক্ত ফারুকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এমন আরো দুটি ঘটনার গ্রাম্য সালিশ হয়েছে। আমি ফারুকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছি।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।