নাসিরনগরে হিন্দু পল্লীতে হামলা। দেওয়ান আখিঁ পুনরায় জেলহাজতে।



নাসিরনগর প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পাওয়া অন্যতম প্রধান সন্দেহভাজন দেওয়ান আতিকুর রহমান ওরফে আঁখিকে আবার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুখ্য বিচারিক হাকিম মনির কামাল তাকে কারাগারে পাঠানোর দির্দেশ দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় দেওয়ান আতিকুরের বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। উচ্চ আদালতে থেকে দেওয়ান আতিকুর চার সপ্তাহের জামিনে বের হন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেষ্ট্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হন দেওয়ান।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুখ্য বিচারিক হাকিম মনির কামাল আতিকুরের অন্তর্ববর্তীকালীন জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আতিকুরের চার সপ্তাহের অন্তর্বতীকালীন জামিনের রায় দেন। তবে আতিকুরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার নম্বর ও ধারা বিভ্রাটের কারণে তাঁর জামিনসংক্রান্ত নথি উচ্চ আদালতে ফেরত পাঠানো হয়। জামিনসংক্রান্ত নথি সঠিক করে গত ১১ মে কারাগারে আসার পর ওই দিন বিকেলে সব প্রক্রিয়া শেষে করে জামিনে বের হন আতিকুর।
উল্লেখ্য গত বছরের ৩০ অক্টোবর রাতে নাসিরনগরে রসরাজ দাস নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দু বসতি ও মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর আরও চার দফায় হিন্দুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
হিন্দু পল্লীতে হামলার ঘটনায় স্থানীয় বারোয়ারি মন্দিরের পুরোহিতসহ দুই ব্যক্তি দুটি মামলা দায়ের করেন। প্রত্যেক মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে আসামি করা হয়।
এরপর কয়েকজনের বাড়িতে কয়েক দফা আগুন দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় দায়ের মোট আট মামলায়এসব ঘটনায় আটটি মামলা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাসহ ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।