নাসিরনগরে মিটার টেম্পারিংয়ের অভিযোগে গ্রাহককে ১ লাক্ষ টাকা জরিমানা



মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর সংবাদদাতাঃ নাসিরনগরে অভিযান চালিয়ে মিটার টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্নসহ মিটার ও সরকারকর্তৃক নিষিদ্ধ বিদ্যুৎ চালিত হিটার(চুলা) জব্দ করেছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস খবর পেয়ে ফেদিয়ারকান্দি গ্রামের আব্দুল মজিদ ভূইয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ মালামালসহ তাকে হাতেনাতে ধরে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ফেদিয়ারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত ২২ মার্চ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীরা অভিযান চালিয়ে মালামাল জব্দ করে এবং ৩ এপ্রিল তাকে আর্থিক জড়িমানা করা হয়। যার মিটার নং-০৯৫৮৫২।
নাসিরনগর উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানেজার হিমেল কুমার সাহ’র সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, মজিদ ভূইয়া দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বৈদ্যুতিক হিটার(চুলা),মিটার ও ১২০ মিটার সরকারী তার উদ্ধার করি। যেহেতু অপরাধ প্রথমবার তাই মামলা না করে ৯৩ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করে তাকে সর্তক করা হয়েছে। পরবির্ততে এমন ঘটনার পূনরাবৃত্তি হলে মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত মজিদ ভূইয়ার স্কুল পড়–য়া মেয়ে ইসরাত আরা মিতু বলেন, আমার বাবা অবৈধ ভাবে প্রায় ৬ বছর যাবত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছে। আমি বহুবার বাবাকে নিষেধ করেছি অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার না করতে। কিন্তু সে আমার কথা শুনেনি। কিভাবে বুঝলেন এটা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, বহুদিন যাবত কোন বিদ্যুৎ বিল আসেনা। মিটার টেম্পারিং করে লাইন সংযোগ দিয়েছে তা বুঝতে পারছি। আমি একদিন বৈদ্যুতিক হিটার(চুলাতে) রান্না করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হই। তার মেয়ের স্বীকারোক্তিমূল একটি ভিডিও রয়েছে এ প্রতিবেদকের কাছে।
মজিদ ভূইয়ার সাথে কথা হলে তিনি এ অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমি ভুল করেছি। আর কোন দিন এমন কাজ করবনা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জিতু মিয়া ৬ বছর যাবত মিটার টেম্পারিং করে বিভিন্ন দোকানে ও বসত ঘরে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে সরকারী লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব হতে আর সাধারণ গ্রাহক পাচ্ছেনা বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ।