নাসিরনগরে মদ, গাজা, জুয়া আর অসামাজিক ব্যবসার অভয়ারন্য-গোকর্ণ।



নসিরনগর সংবাদদাতাঃ- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহি গোকর্ণ ইউনিয়ন এখন মদ, গাজা, জোয়া আর নারী ব্যবসার অভয়ারণ্যে পরিনত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিন এলাকায় ঘুরে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে এখানকার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু লোকজন এ প্রতিনিধিকে জানায় মদ, গাজা, জোয়া ও দেহ ব্যবসা এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এলাকাবাসী জানায় ঐতিহ্যবাহি সৈয়দ ওয়ালি উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে, শান্তিনগর ও বেড়ীবাধ সংল্গন এলাকা গুলিতে চলে রমরমা দেহ ব্যবসা। লোকেশ ঠাকুরের বাড়ীর পাশে, মিলন মন্দিরের উত্তর পাশে, মোহন মিয়ার বাড়ী, ইমাম বাড়ী, কপালীপাড়া বাঁশঝাড় ও দিঘীরপাড়ে প্রতিদিন চলে জুয়া খেলা। গোকর্ণ চামার বাড়ী সহ বেশ কয়েকটি স্থানে রয়েছে মদের আস্তানা। সন্ধ্যার পর বেশ কিছু নারী পুরুষ স্প্রিট ও টাইগারের বোতলে ভর্তি করে হেটে হেটে চৈয়ারকুড়ি বাজারে বিক্রি করে মদ। এলাকার এক শ্রেণীর গ্রাম্য মাতাব্বররা তাদের আশ্রয় দাতা বলে জানান তারা। এমন পরিস্থিতিতে ধ্বংস হতে চলেছে যুব সমাজ। স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে অভিভাবকরা পড়েছে বিপাকে।
এ বিষয়ে গোকর্ণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাসান খানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন. এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমি এখনও শপথ গ্রহণ করিনি, ক্ষমতায় ও বসিনি। ক্ষমতায় বসার পর আমি আপনাদের ও প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে অবশ্যই এ সমস্ত অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ করব।