নাসিরনগরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে সাংসদ
মুরাদ মৃধা,নাসিরনগর সংবাদদাতাঃ গত ৩১ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত তিনবার শিলাবৃষ্টি হয়েছে নাসিরনগরে। প্রথম ও দ্বিতীয়বার শিলাবৃষ্টিতে হাওর এলাকার পাকা ধানের ৯০ শতাংশ ক্ষতি হলেও ৩য় দফা শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের কাঁচা ও পাকা ধানের শেষ সম্বলটুকুও হারিয়েছে। কৃষকের স্বপ্ন ম্লান করে দিয়েছে অসময়ের শিলাবৃষ্টি।
জেলার নাসিরনগরে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানসহ অন্যসব ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগর আসনের এমপি বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল কবির,নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন,ভাইস চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন চিশতী,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার,উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুজ্জামান,ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া,গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল হক প্রমুখ।
এসময় সাংসদ ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকের সাথে কথা বলেন। কৃষকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,প্রাকৃতিক দুর্যোগে কারো হাত নেই। এ সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। ক্ষতিগ্রস্থদের নামের তালিকা আমরা তৈরি করছি। নাসিরনগরের কৃষিকে আধুনিক ও উন্নত করার জন্য যা যা দরকার সবসময় আপনাদের পাশে থাকব।
নাসিরনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে নাসিরনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার ১ শত পয়ষট্টি হেক্টর জমির পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার সদর ইউনিয়ন,গোয়ালনগর,ভলাকুট,চাতলপাড় ও গোকর্ণ ইউনিয়নে।
প্রসংগত: উপজেলায় এবছর প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়। অসময়ের কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির পাকা ধানের ব্যাপক ও আংশিক ক্ষতি হয়েছে।