নাসিরনগরে জন্ম নিবন্ধনের প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান
মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর সংবাদদাতাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের ০৯ নং চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ ফয়েজ উদ্দিন ভূঞা কর্তৃক জন্ম নিবন্ধনের প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারার খবর পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় চেয়ারম্যান তার চাচাতো ভাই মাহমুদুল হাসানকে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা নিয়োগ দিয়ে তার মাধ্যমে উল্লেখিত পরিমান টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা করে আসছেন।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য বছর প্রতি ৫.০০ টাকা হারে ফি আদায় করার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান উদ্যোক্তাকে দিয়ে অতিরিক্ত ৫০-৫০০ টাকা আদায় করে দুই ভাই মিলে ৫০/৫০ হারে ভাগ করে নেন। অনলাইনে আবেদনের নামে আরও অতিরিক্ত ৫০-১০০ টাকা আদায় করা হয়। আদায়কৃত ফির টাকা ইউপির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমাদানের বিধান থাকলেও চেয়াম্যান লক্ষাধিক টাকা তার হাতে রেখে দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, অতিরিক্ত টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে সনদ প্রাপ্তির জন্য তাদেরকে ১ থেকে ৬ মাস অবধি উদ্যোক্তার পেছনে পেছনে ঘুরেও সনদ পাওয়া যায় না। কারন হিসেবে সে জানান চাপরতলা ভাল নেট পাওয়া যায়না বিধায় হবিগঞ্জ হতে জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন করা হয়। তাই সে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ এর সাথে কথা বললে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে এ ব্যাপারে আমার কাছেও অভিযোগ আছে। আমি তাকে বহুবার মোবাইল ফোনে বলেছি শীঘ্রই টাকাগুলি নির্ধারিত হিসাব নম্বরে জমাদানের জন্য। কিন্তু অধ্যাবধি দেব-দিচ্ছি করে টাকাগুলি ব্যাংকে জামা দেননি ।
এ ব্যাপারে ০৯ নং চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফয়েজ উদ্দিন ভূঞার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে ফোন রিসিভ করেনি।