Main Menu

নাসিরনগরে কেটে গেছে আতংক, উৎসব আমেজে দুর্গোৎসবের উদ্বোধন

+100%-

এম.ডি.মুরাদ মৃধা :: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে দুর্গোৎসবের শুভ উদ্বোধন করলেন ড.এস.এম.মনির উজ-জামান বিপিএম,পিপিএম,ডিআইজি,চট্টগ্রাম রেন্জ,বাংলাদেশ পুলিশ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে দুর্গোৎসবে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এ এসপি সার্কেল মনিরুজ্জামান ফকির, উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরকার,আওয়ামীলীগ সভাপতি রাফি উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা লতিফ পান্না,জেলা পরিষদ সদস্য ফারুকুজ্জামান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম,আওয়ামীলীগ সাংস্কৃতিক সম্পাদক অরুন ভট্টাচার্য।

ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। ষষ্ঠী, দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। দেবী দুর্গার মূল প্রতিমায় পূজা শুরু। এর আগে সোমবার দেবীর বোধন হয়েছে। আজ থেকে আগামী শনিবার বিজয়া দশমী পর্যন্ত ঢাকের বাদ্যে মুখরিত থাকবে পূজামণ্ডপগুলো।

মন্দিরের পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে এখন উৎসবের আমেজ। ঢাকের বোল কাঁসার ঘণ্টা, শাঁখের ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠছে নাসিরনগরের সব পূজামন্ডপ। মায়ের আগমনে চারদিকে আনন্দ আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। খুশির আনন্দ ছুঁয়ে যাচ্ছে ঘরে ঘরে, সব বয়সী মানুষের মনে। দেবীর আগমন ঘিরে এরই মধ্যে পূজামন্ডপগুলোতে আনন্দের বন্যা বইছে।

নাসিরনগর দত্তবাড়ি মন্দিরের পূজামণ্ডপে আজ ভক্তদের মাঝে উৎসবের আমেজ। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন করতে মণ্ডপগুলোতে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। এবছর নাসিরনগর উপজেলায় ১৩৯টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হবে।

নাসিরনগর থানার ওসি মো: আবু জাফর বলেন, পুজা উপলক্ষে মন্ডপ এলাকায় ৫ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি থাকছে। পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব,বিজিবি, আনচার ভিডিপি ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকবেন।

নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: লিয়াকত আলী বলেন, দূর্গোৎসবকে স্বার্থক করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

নাসিরনগর পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পদক এ প্রতিনিধিকে জানান , পুজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মন্ডপ সাজানোর কাজ চলছে। আশা করছি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতায় সুন্দর ও সফলভাবে দুর্গা উৎসব সম্পন্ন হবে। তারা আরও জানান গত ৩০ অক্টোবর তাণ্ডবের সময় বেশ কয়েকটি মন্দির ভাঙচুর করা হয়। এ সময় দত্ত বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। হামলার ঘটনার পর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ফিরে আসে।

উল্লেখ, ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকার ছবির পোস্টের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৩০ অক্টোবর ডাকা প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে নাসিরনগর সদরের হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।






Shares