নাসিরনগরের “হরিপুর জমিদার বাড়িকে” সংরক্ষিত প্রত্নসম্পদ ঘোষণা



এস.এম.বদিউল আশরাফ(এম.ডি.মুরাদ মৃধা):: প্রায় পাচশ’ বছরের প্রাচীন হরিপুর জমিদার বাড়িকে ‘সংরক্ষিত প্রতœসম্পদ’ ঘোষণা করেছে সরকার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলাধীন হরিপুর গ্রামের হরিপুর জমিদার বাড়িটি সর্ব সাধারণের নিকট পরিচিত বিধায় এর ঐতিহাসিক গুরত্ব বিবেচনা করে প্রতœত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৬৮ সালের(১৯৭৬ সালে সংশোধিত) প্রতœসম্পদ আইনে সংরক্ষণযোগ্য বিবেচিত হওয়ায় ১৮ অক্টোবর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ তারিখে সংরক্ষণ বিজ্ঞপ্তি জারীর করেন।
হরিপুর বড়বাড়ি গেলে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতেই চোখে পড়বে কারুকাজ-খচিত দেয়ালের মন্দির। এর পশ্চিম পাশে উকিঁ দিলেই দুতলা বিশিষ্ট সুবিশাল বাড়ি। সব মিলিয়ে শতাধিক কক্ষ। বাড়ির এক প্রান্তে খেলার মাঠ আরেক প্রান্তে মহল পুকুর। কিন্তু কোথাও রডের দেখা নেই। একেকটি বীম দুই থেকে আড়াই ফুট চওড়া। উপরে উঠার জন্য সব মিলিয়ে ৪/৫ দিক থেকে সিঁড়ি। আছে রঙ্গমঞ্চ,নাটমন্দির,শয়ন কক্ষ ইত্যাদি।
এক সময়ের প্রভাবশালী জমিদার গৌরপ্রসাদ রায় চৌধুরী তার পরিবার নিয়ে বাস করতেন এখানে। কৃষ্ণপ্রসাদ চৌধুরী,হরেন্দ্র চৌধুরী, লাল চৌধুরী,হরিপদ রায় চৌধুরী ছিলেন তার বংশধর। তবে কবে তার বংশধররা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন এর সঠিক হিসেব এখানকার স্থানীয়রা কেউ বলতে পারছেন না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে লোকজনের বসবাস। তারা জানান, খালি বাড়ি পরে থাকায় আমরা ৩০ টি পারিবার প্রায় ৭০ বছর ধরে এখানে বসবাস করছি। সামনের অংশের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে মাঠির সাথে মিশে যারার উপক্রম। কোন কক্ষেরই পুরনো দরজা নেই।
এ ব্যাপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমেদ বলেন, এটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক গুরত্বপূর্ণ প্রতœতত্ত্ব সম্পদ। হরিপুর বড় বাড়িটির সঠিক পরিচর্যা করলে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। বিশেষ করে শীতকালে এখানে দেশের বিভিন্ প্রান্ত থেকে পর্যটক আসেন।