নাসিরনগরের বিভিন্ন গ্রামে প্রকাশ্যে জুয়া খেলা ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ।
নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদ দাতাঃ- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রকাশ্যে জুয়া খেলা ও নানা অসামাজিক কার্যক্রমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ক্ষতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি ও অসাধু চৌকিদার আর থানা ও র্যাবের সোর্স নামদারী ব্যাক্তিরা এ সমস্ত খেলা ও অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে কিছুই জানেনা থানা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, সব চেয়ে বড় জুয়া খেলাটি জমে নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের মৃত আব্দুল হাফিজের ছেলে তৌহিদ মিয়ার বাড়ীতে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিদিন এ বাড়ীতে কয়েক লক্ষ টাকার খেলা হয়। বিনিময়ে প্রতিদিনের পাহাড়া বাবদ চৌকিদার শাওনকে দেয়া হয় ৫ শত ও ঘর মালিক পায় ৫ শত টাকা।
২য় খেলাটি জমে বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর দক্ষিণ পূর্ব গ্রামে আলমগীর মাষ্টারের পুকুর পাড়ে। সেখানে পাহাড়া বাবদ চৌকিদার সাচ্চুকে প্রতিদিন দেয়া হয় ২ শত টাকা। থানা পুলিশে নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের জনৈক চাচা প্রতিদিন ৭ শত টাকা হারে প্রতি মাসে ২১ হাজার আদায় করার ও অভিযোগ রয়েছে।
তাছাড়াও প্রতিদিন জোয়া খেলা বসে ফান্দাউক গ্রামের শাহজাহান মিয়ার বাড়ীতে, পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে ছায়েদ মিয়া বাড়ীতে, বুড়িশ্বর ইউনিয়নের সিংহগ্রামের স্বাধীন ও সুবল সরকারের বাড়ীতে, চাপরতলা ইউনিয়নের গাড়াউক গ্রামের কামাল মিয়া ও ভেনু মিয়ার বাড়ীতে, তাছাড়াও কালিউতা বেঙ্গাউতা ও রামপুর সিমানার খালের নীচে ও শফিক মেম্বারের ভাই সুরুল্লা, তাজু ও রফিকুল ইসলামের বাড়ীতে, জোয়া খেলা ছাড়াও কালিউতা গ্রামের শফিক মেম্বারের ভাই সুরুল্লা তাজু মিয়া, রফিকুল ইসলাম মিলে প্রতি মাসে ৫/৭টি চোরাই গরু জবাইয়েরও অভিযোগ রয়েছে।
এসমস্ত গ্রামে সন্ধ্যার পর শাহজি বাজার, চুনারুঘাট ও মাধবপুর থেকে যুবতী তরুনী মেয়েদের দিয়ে স্থানীয় পাট ক্ষেত গুলোতে দেহ ব্যবসারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভলাকুট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার বাড়ীতে ও কুটুই বাজারে, গোকর্ণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের নায়ের মিয়ার বাড়ীতে, কুন্ডা ইউনিয়নের মহিষবেড়, ধরমন্ডল ইউনিযনের ধরমন্ডল গ্রামে এ সমস্ত জোয়া খেলা আর অসামাজি কার্যকলাপের ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরাধ প্রবনতা। এলাকার আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন ও অপরাধ প্রবনতা বন্ধে এ সমস্ত জুয়া খেলা ও সমস্ত অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকার বিজ্ঞ মহল ও সুশীল সমাজের লোকজন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল কাদের কিছু জানেননা বলে জানান। তবে তিনি অপরাধীদের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান।