ছাত্র-শিক্ষকের ভাষার প্রতি ভালবাসা
সারা দেশে হাজার হাজার শহীদ মিনার আছে। ২১ ফেব্রুয়ারিততে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই আসেন। বৃদ্ধ-যুবক, শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সকল বয়সের নারী-পুরুষ। আক্ষেপ নিয়ে ফান্দাউক স্কুলে একজন শিক্ষক বলেন নির্দিষ্ট দিবসে কেন শহীদ মিনার পরিষ্কার করতে হবে!! সারা বছর কি আমরা শহীদ মিনারকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারিনা? ২১ আসলেই ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে আমরা তোরজোড় শুরু করি। অথচ সারা বছর তাদের কোন খুঁজ রাখিনা। এই অপসংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
সরেজমিন কুন্ডা ইউনিয়নের তুল্লাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘুরে দেখা যায় শ্যামল চন্দ্র রায় আর একজন ছাত্র বাপ্পী মিয়াকে নিয়ে স্কুলের শহীদ মিনার চত্বরে রক্ত রঙের আঁচড়ে আপন মনে রংতুলি দিয়ে বিভিন্ন আলপনা আকঁছেন । শ্যামল ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক। ৬ দিন ধরে একটানা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তবে স্কুল শুরু হবার পূর্বে এবং স্কুল ছুটির পর। এই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী আছে ১৮০ জন। স্কুলটি ১৯৭৯ সালে ৪১ শতাংশ জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়।
তুল্লাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলফাজ মিয়া বলেন, ২০১৮ সালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৮১ হাজার টাকা ব্যয় করে এই শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবী ছিল স্কুলে একটি শহীদ মিনার স্থাপন করা। আমরা পেরেছি। এই ২১ ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারব।
তুল্লাপাড়া স্কুলের শিক্ষার্থী অবিকল চন্দ্র দাস,ফেরদৌস আক্তার, তানিয়া আক্তার, ঐশি দাস জানান, আমরার স্কুলে একটা শহীদ মিনার আছে। আমরাও হগলের মত (সকলের মত) সালাম বরকতদের শ্রদ্ধা জানাতে পারব। হের লাইগ্যা খুশি লাগতাছে।