আজ নাসিরনগর মুক্ত দিবস ::স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৬ বছরেও দবিসটি পালনে সরকারী ভাবে নইে কোন উদ্ধোগ
এম.ডি.মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর সংবাদদাতাঃআজ ৭ ডিসেম্বর নাসিরনগর পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে নাসিরনগর মুক্ত করে। তারা “জয় বাংলা” স্লোগান দিয়ে উড়িয়ে দেয় স্বাধীন বাংলার লাল-সবুজ পতাকা।
১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনী নাসিরনগরে তাদের বিপুল সংখ্যক সৈন্য ও তাদের এদেশীয় দোসর, রাজাকার, আলবদর ও আলসামস বাহিনীর সহযোগিতায় উপজেলার ফুলপুর , নুরপুর, কুলিকুন্ডা, সিংহগ্রাম ও তিলপাড়া গ্রামবাসীর উপর চালায় নিষ্ঠুর অত্যাচার ও নির্যাতন। অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে এসব গ্রামের ঘরবাড়িতে। পাকবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনে বহু লোক নিহত ও আহত হয়।
১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনী উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে নারকীয় তান্ডব চালায়।পাকবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনে বহু লোক নিহত ও আহত হয়। অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে এসব গ্রামের ঘরবাড়িতে। মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী জনতা পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস লড়াই করে ৭ ডিসেম্বর থানা অভ্যন্তরে (পুলিশ ষ্টেশন) স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই দিনে নাসিরনগরকে পাক-হানাদার মুক্ত করেন।
মুক্তিযুদ্ধে যে সকল বীরসেনা আত্মহুতি দিয়েছিলেন তাদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য দীর্ঘ ৪৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে নাসিরনগরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক নির্মিত হলেও তা উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। ২০০৮ সালের ২৬ মার্চ উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলকের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করার দীর্ঘদিন পর মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট মোহাম্মদ ছায়েদুল হক এমপির সার্বিক সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে স্মৃতিসৌধটি মাটি থেকে ৪০ ফিট উচ্চতায় স্মৃতিসৌধের নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে । এখন শুধু শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ফলক লেখা আর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় ।
এ ব্যপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নাসিরনগর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মোঃ সোহরাব মোল্লা’র সাথে কথা বললে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৬ বছরেও ৭ ডিসেম্বর নাসিরনগর পাক হানাদার মুক্ত দিবসটি সরকারী ভাবে পালন করেনি। যা একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে খুবই অবমাননাকর।