আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারণায় এমপি সংগ্রাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। আগামী ১১ নভেম্বর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে ইতোমধ্যে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। ২৭ অক্টোবর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এদিকে তফসিল ঘোষণার পর থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে বিভিন্ন জনসভায় ভোট চাইছেন সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। মতবিনিময় সভা, কর্মিসভা ও আলোচনা সভার নামে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন তিনি। সর্বশেষ সোমবার বিকেলে বুড়িশ্বর ইউনিয়নে এক সভায় তিনি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট চান। একই দিন দুপুরে ভলাকুট ইউনিয়নে মতবিনিময় সভার ব্যানারে ভোট চান আরেক দলীয় প্রার্থীর পক্ষে।
দলীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, গত ১৮ অক্টোবর বেলা ১১টায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার ডাকবাংলোয় পরামর্শ সভা, ২২ অক্টোবর দাঁতমণ্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলোচনা সভা, ২৪ অক্টোবর হরিপুর ইউনিয়ন ও গোকর্ণ ইউনিয়নে বিশেষে কর্মিসভার নামে জনসভা হয়। সবগুলো সভায় নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। প্রতীক হাতে বাদ্যযন্ত্রের তালে প্রায় প্রতিটি জনসভায় মানুষ যোগ দেন।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বলেন, ‘আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছি না। ২৬ অক্টোবরের পর আচরণবিধি কার্যকর হবে।’
তবে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, আচরণবিধি অনুযায়ী কোনো প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এবং তার পক্ষেও কেউ চালাতে পারবেন না।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, বিধিমালা অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন না। কোনো প্রার্থী প্রকল্প উদ্বোধন বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবেন না।
(প্রতিবেদনটি পূর্বে জাগো নিউজে প্রকাশিত)