সরাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উচ্ছেদ অভিযান। দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-১০
মোহাম্মদ মাসুদ,সরাইল ॥ সরাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিছু দখলদারদের মাঝে সংঘর্ষ বেধেঁ যায়। আহত হয় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন।
সরাইল-নাসিরনগর- লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল হাসপাতাল মোড়ের সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা সমূহ ১৫-২০ দিন আগে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার সকালে সওজের কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সরাইল হাসপাতাল মোড়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিষ্ট্রেট এএসএম মোসা।
এই বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মোসা বলেন, ডেঙ্গুর কারনে রাস্তার উভয় পাশের স্থাপনা ও আবর্জনা পরিস্কার করার জন্য আগে থেকেই তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। এরই অংশ হিসেবে আজকে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। যাতে কোন সমস্যা না হয় তার জন্য আমি এবং পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে সাড়ে ১২টার দিকে সরাইল ডিজিটাল হাসপাতালের সিঁড়ি উচ্ছেদের বিষয় নিয়ে ঘটে বিপত্তি। মালিক ইউনুছ মিয়া মামলার কাগজ দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের হাতে। কাগজ দেখা শুনার সময় কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করার প্রতিবাদ করেন উচালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্ধা অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. শামীম মিয়া। তার উপর চড়াও হন ইউনুছ মিয়া ও তার লোকজন। দুজনের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তারা শামীমকে মারধর করে আহত করে ফেলে। এ ঘটনায় শামীমের লোকজন উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে পাল্টা হামলা চালায়। বিক্ষুদ্ধ লোকজন ওই হাসপাতালটি ভাংচুর করেন।
সরাইল থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আধা ঘন্টার সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন লোক আহত হয়। শামীম মিয়া ও ইউনুছ মিয়া (৫৫) সরাইল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এই বিষয়ে শামীম মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, আমি যখন সওজের লোকজনকে বলছিলাম যে গরীব খেটে খাওয়া লোকদের স্থাপনা উচ্ছেদ করছেন, আর যারা যায়গা দখল করে বিল্ডিং করে রাখছে তাদেরকে ধরেন। এই কথা বলার পরে তারা আমার উপর হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
এইবিষয়ে ডিজিটাল হাসপাতালের মালিক ইউনুস মিয়া বলেন, সওজের কর্মকর্তারা যখন আমার হাসপাতালের সামনে আসে, তখন আমি ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়কে আমি জায়গার কাগজ দেখাইতে গেলে আক্তার হোসেনের ছেলে শামীম এবং আব্দুল জাহেরের ছেলে মোবারক সওজের লোকজনকে বলে এইটা ভাঙতে হবে। আমি বলি জায়গা আমার আমি মামলা করে জায়গা পাইছি তোমরা এইসব করতাছো কেন? এই কথা বলার সাথে সাথেই তারা আমার উপর এবং হাসপাতালের উপর হামলা চালায়। আমার মাথায় আঘাত করে এবং হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। আমার হাসপাতালে অনেক রোগী আতঙ্কে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই মামলা করেনি। কোন গ্রেপ্তার নেই।