সরাইলে আওয়ামীলীগের পদবঞ্চিতদের সংবাদ সম্মেলন
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের পদবঞ্চিতদের সংবাদ সম্মেলন। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামীলীগের পদবঞ্চিতরা।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠকরে শুনান সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জাব্বার। তিনি বলেন ২০১২ সালে ইকবাল আজাদের হত্যাকান্ডকে পুজি করে আমাদেরকে অন্যায় ভাবে জড়িত করা হয়েছে ও ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে আমরা জড়িত ছিলাম না। আমাদের কে হত্যাকান্ডে মিথ্যাভাবে জড়ানোর পরেও উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর দুইবার বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছে। আমি সদর ইউনিয়ন নির্বাচনে ৩ বার বিজয়ী হয়েছি। আওয়ামীলীগের যারা ত্যাগী ও মুক্তিযুদ্ধের স্ব পক্ষের সেসকল নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
যারা আজকে নিজেদের আওয়ামীলীগ দাবি করে হেফাজতের তান্ডবের সময় তাদের খুঁজে পাওয়া যায় নি। তারা বরং তান্ডবে অংশ নেওয়া একাধিক নেতাকর্মীকে তারা রক্ষা করেছেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে এর আগে তড়িঘড়ি করে পুলিশ পাহারায় ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮ টি ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ টিতে ব্যপক অনিয়ম করা হয়েছে। বিএনপি ও হেফাজতের লোককে ওয়ার্ড কমিটিতে রাখা হয়েছে। আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পদবঞ্চিত করা হয়েছে।
দীর্ঘ ১৮ বছর পরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি, সম্পাদক নির্বাচন করা হইলে সরাইল আওয়ামীলীগ আরো শক্তিশালি হইতো। অথচ রাজাকারের উত্তরসূরি ও তাহের উদ্দিন ঠাকুরের ঘনিষ্ঠজনকে দেওয়া হয়েছে পদ পদবি।
কোন গঠন তন্ত্রে নাই মামলার আসামি হলে আওয়ামীলীগের পদে আসা যাবে না। নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হত্যা মামলার চার্জশিট ভুক্ত আসামি ও অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক একাধিক খুনের মামলার আসামি। পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধেও রয়েছে খুনের মামলা । তবুও তাদের দলীয় পদে রাখা হয়েছে।
তৃনমূলের মতামত বা ভোট না নিয়েই যুগ্ম আহবায়ক ১ কে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করায় আমরা মারাত্মক ক্ষুব্ধ ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমরা এই অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে ঘোষিত অবৈধ কমিটিকে বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি।
অন্যদিকে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমত আলী বলেন ১৯৬৫ সাল থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্ব পক্ষের লোকদের কমিটিতে রাখা হয়নি। কেন এই অবিচার করা হয়েছে তার প্রশ্ন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।