ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার জয়লাভ



মোহাম্মদ মাসুদ,সরাইল ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরেকটি আসনে জয় পেয়েছে বিএনপি। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের স্থগিত তিন কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের পর বিজয় হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার মাথায়।
ধানের শীষ প্রতীকে ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন কলার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট।
গত ৩০ ডিসেম্বর এ আসনের মোট ১৩২ কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। তবে ১৩২ কেন্দ্রের ফলাফলে জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৮২ হাজার ৭২৩ ভোট আর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন কলার ছড়ি প্রতীকে পান ৭২ হাজার ৫৬৪ ভোট। ফলে স্থগিত তিন কেন্দ্রের ভোট নিয়ে জেলাবাসীর আগ্রহ বেড়ে যায়।
বুধবার কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে স্থগিত তিন কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তিন কেন্দ্রের ফলাফলে ধানের শীষ প্রতীকে সাত্তার পেয়েছেন ১ হাজার ২৭৪ ভোট আর কলার ছড়ি প্রতীকে মঈন পেয়েছেন ২ হাজার ৮৫৫ ভোট। এ তিন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিল ৩৩৯ জন পুলিশ সদস্য, ৩৬ জন আনসার এবং দুই প্লাটুন বিজিবি ও দুই প্লাটুন র্যাব সদস্য।
ভোটের প্রথম প্রহরে আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর (দক্ষিণ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারদের সরব উপস্থিতি ছিল।
এ তিন কেন্দ্রের মোট ভোটার ১০ হাজার ৫৭৪ জন। আর আগে থেকেই ১০ হাজার ১৫৯ ভোটে এগিয়ে থাকায় জয় অনেকটা নিশ্চিত ছিল সাত্তারের।
উল্যেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে সোহাগপুর (দক্ষিণ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে পুনরায় ভোট গ্রহণের জন্য ৯ জানুয়ারি নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।