সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে জাতীয়করনের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন
সরাইল(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:গতকাল শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে জাতীয়করনের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সরাইল প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলার সকল অভিভাবকদের দাবির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি, সরাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর।
এ সময় বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্য সৈয়দ ইসমাইল হোসেন উজ্জ্বল, প্রধান শিক্ষক মো: আইয়ুব খান, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন , ১৯৫৪সালে প্রতিষ্ঠিত সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টির নিজস্ব ৩ একর সাড়ে ৫৯ শতক জায়গা রয়েছে। রয়েছে একটি খেলার মাঠ, আধুনিক বিজ্ঞানাগার, প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরী, দ্বিতল বিশিষ্ট একটি ভবনসহ মোট ৫টি ভবন। এখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। ১৯৮৪ সালের ১ডিসেম্বর বিদ্যালয়টি প্রথম এমপিওভুক্ত হয়(এমপিও কোড-০৬০৭০৩১৩০১) এবং ইআইআইএন নং-১০৩৪৭১। বর্তমানে বিদ্যালয়ে সাড়ে ১২শত ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। এমপিওভুক্ত ১২জনসহ মোট শিক্ষকের সংখ্যা ১৬ জন। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিবছরই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ভাল ফলাফল করে আসছে। ১৯৮৩সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মো: এরশাদ বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন এবং ছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে একটি ছাত্রী হোস্টেল নির্মানের ঘোষনা দেন ও বাস্তবায়ন করেন। গত ৬২ বছর ধরে উপজেলার ছাত্রীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারী স্কুলে পড়া-লেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর স্বপ্ন দেখছে জাতীয়করনের। ১৯৯২ সালের ২৮ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতীয়করনের ঘোষনা দিয়েও বাস্তবায়ন করেননি।
পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী ক্ষমতায় আসলে এ বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। সময় এসেছে সরাইলের মানুষের স্বপ্ন পূরনের। বর্তমান সরকার প্রতি উপজেলায় ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করনের ঘোষনা দিয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ইতিমধ্যে বালিকা বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করনের পক্ষে ডিও লেটারও দিয়েছেন। তাই অতি পূরাতন সরাইল সদরের এ বিদ্যালয়টি জাতীয়করন করে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিষদ ও শিক্ষকবৃন্দ।