Main Menu

সরাইল ২৪ ঘন্টা অন্ধকারে কর্তৃপক্ষের মোবাইল বন্ধ

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ , সরাইল থেকেঃ

ভাদ্র মাসের ভ্যাসপা গরমে অতিষ্ট জন জীবন। তার উপর আবার বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। এ যেন মরার উপর খারার ঘাঁ। গত দুই দিনে গোটা সরাইল বিশ ঘন্টাই ছিল অন্ধকারে। সরজমিনে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত চারটায় বিদ্যুত চলে যায়। সেই সাথে বন্ধ হয়ে যায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের মুঠোফোন। দুই এক জনের ফোন খোলা থাকলে ও কল রিসিভ করেননি কেউ। বিদ্যুত আসে বিকাল সাড়ে তিনটায়। বুধবার দিবাগত রাতেও ছয় ঘন্টা সরাইল ছিল বিদ্যুত বিহীন। এ ছাড়া স্থানীয় পিডিবি কতৃপক্ষ মাইকিং করে গত বুধবার সকাল দশটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত সরাইলে বন্ধ রাখেন বিদ্যুত সরবরাহ। ওইদিন পাঁচটার পর বিদ্যুত আসলেও ঘন্টা দুয়েক পর আবার লাপাত্তা হয়ে যায় বিদ্যুত। নিয়মিত লোডশেডিং তো আছেই। ঘনঘন বিদ্যুত যাওয়া আসা ও দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকা সরাইলে এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুত সমস্যার যন্ত্রণায় ছটফট করছেন ১৬ হাজার গ্রাহক। কর্তৃপক্ষের চাপিয়ে দেওয়া ভৌতিক বিল দিয়েও চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। প্রকট এ সমস্যা সমাধানের স্থান খুঁজে দিশেহারা তারা। হাসপাতালের বিছানায় ভ্যাসমা গরমে নিয়মিত কাতরাচ্ছেন রোগীরা। অপারেশন করার সময় বিদ্যুত চলে গেলে অজানা কারনে বেকায়দায় পড়েন ডাক্তাররা। স্কুল কলেজ ও কিন্টার গার্টেনের শিক্ষার্থীদের ঘাম জড়ে পড়ে শ্রেণী কক্ষে। বাঁধাগ্রস্থ ও গতিহীন হয়ে পড়ছে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবার কাজ। জরুরী প্রয়োজনে আসা মহিলা পুরুষরা বিদ্যুতের জন্য বসে থাকেন ঘন্টার পর ঘন্টা। চার্জ দিতে না পারায় বন্ধ হয়ে গেছে অনেক মোবাইল ও বিকাশের সার্ভিস। পঁেচ দূর্গন্ধ ও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফ্রিজে রক্ষিত কাঁচা মালামাল। ফটোকপি মেশিন বন্ধ থাকায় থমকে গেছে অফিস ও থানার কাগজ পত্র কপি করার কার্যক্রম।

এ বিষয়ে জানতে সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরন) এ জেড এম আনোয়ারুজ্জামানের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অফিসিয়াল নাম্বারে (০১৮৪১-১২১২৪৬) একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি। এক সময় ওই নাম্বারটি ও বন্ধ হয়ে যায়।






Shares