Main Menu

ঈদ-উল-ফিতরের দিন সংঘর্ষ। সরাইলে দুই দিনের সংঘর্ষে নয় পুলিশ সহ আহত শতাধিক

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ , সরাইল::ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের পল্লীতে দুই গোষ্ঠীর পরপর দুই দিনের ভয়াবহ সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার ঈদের দিন সকালে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নিজের বাড়ি রানিদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা সহ আহত হয়েছে নয় পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, চেয়ারম্যানের ভাইপো রাজিব সাঈদ মেম্বারের গোষ্ঠীর এক ছেলেকে মারধর করে। এ ঘটনায় সালিশ ও হয়েছে। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার ঈদ-উল-ফিতরের দিন সকাল বেলা দ্বিতীয় দিনের মত দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চেয়ারম্যানের গোষ্ঠী ও সাঈদ মেম্বারের গোষ্ঠীর দুই সহস্রাধিক লোক দাঙ্গায় লিপ্ত হয়। সাঈদ মেম্বারের লোকজনের সাথে যোগ দেয় মহব্বত আলীর ও মাইট্টইল্লা গোষ্ঠীর লোকজন। এক সময় সংঘর্ষ সমগ্র গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচ রাউন্ড রাবার বুলেট ও দুই রাউন্ড টিয়ার সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। সংঘর্ষে নয় পুলিশ সদস্য, নারী পুরুষ ও শিশু সহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলী আরশাদ, এস আই আবদুল আলীম, এস আই (শসস্ত্র) আশরাফুল ইসলাম, এ এস আই কবিরুল ইসলাম, এ এস আই জুয়েল, এ এস আই (শসস্ত্র) ফরহাদ হোসেন, কন্সটেবল তৌহিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম ও শ্যামল মিয়া।  চেয়ারম্যানের সহোদর ভাইপো পল্লী চিকিৎসক বাবুল মিয়া মাথায় বল্লম বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। ওদিকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে বাবুলের মৃর্ত্যুর সংবাদ। এ খবরে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষের লোকজন। সুযোগে পুরো গ্রামে চলে ভাংচুর ও লুটপাটের তান্ডব। প্রসঙ্গতঃ একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার (ঈদের আগের দিন) সকাল ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত উভয় পক্ষের লোকজন হামলা পাল্টা হামলা চালায়। তিন ঘন্টার সংঘর্ষে ওইদিন ও উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। পরপর দুই দিনের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত সরাইল থানার এস আই আবদুল আলীম বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো সাড়ে তিনশত লোকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজে সহ নয় পুলিশ সদস্যের আহত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, দাঙ্গারোধে ওই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।  






Shares