Main Menu

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা, দায়ী বেপরোয়া যান চলাচল

+100%-

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ অবাধে চলছে সিএনজি অটোরিকশা। চলছে রিকশা, ভ্যানগাড়ি, ইজিবাইক, ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার। এসবের ভিড়ে বড় দেহের বাস-ট্রাকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে চলা। বিপজ্জনক ওভারটেকিং। এ ছবি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের। বড় গাড়ির চালকা বলছে ছোট যানবাহনের মহাসড়ক জবর দখলে রাখার কারণে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে । ব্রাহ্মণবাড়িয়ার  আশুগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জের মাধবপুর পর্যন্ত মহাসড়কটিতে দুর্ঘটনা নৈমিত্তিক ব্যাপার। সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোমিনুল মউজউদ্দিন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মহাসড়কের এ অংশে। জীবন ঝরেছে আরও অনেকের। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ওভারস্পিড ও ওভারটেকিংয়ের জন্যই এ দুর্ঘটনা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঢাকা- সিলেট মহাসড়কে বাস-ট্রাক সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইক, রিকশা, ভ্যানগাড়ি, পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর। পেছনে ফেলে এক গাড়ি আরেক গাড়ি থেকে এগিয়ে যাওয়ার বেসামাল প্রতিযোগিতা, একই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি গাড়ির মুখে পড়া। ফলে মহাসড়কে ক্ষণে ক্ষণেই চোখে পড়েছে বিপজ্জনক দৃশ্য। সরাইলের বিশ্বরোড মোড়ে হাইওয়ে মহাসড়ক পরিণত হয়েছে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে। এ বছর শুধু মার্চ মাসে সড়কের একটি স্পট কুট্টাপাড়া থেকে বাড়িউড়া সীমানায় দুটি দুর্ঘটনায় মারা যান অন্তত ১১ জন। আর গত ৬ মাসে মারা গেছেন ২৬ জন। পাশপাশি আহত হয়েছে শতাধিক।

প্রতক্ষ্যদর্শিরা জানায় ভ্যানগাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা চলে মহাসড়কে। এসব কারণে গাড়ির গতি বাড়ানো যায় না। মহাসড়কে ছোট যানগুলো কোন ডিসিপ্লিন মেনে চলে না। তা ছাড়া এগুলো চালায় অল্প বয়সের চালক। সবচেয়ে বড় সমস্যা করে সিএনজি অটোরিকশা। এগুলো হুট করেই বড় গাড়ির সামনে চলে আসে। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে।

বিশ্বরোড হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ফাঁড়ির উপ সহাকরি পরির্দশক মো. মাসুক  জানান হাইওয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তার মতে, ওভারটেকিং ও ওভারস্পিড দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। তা ছাড়া আছে অদক্ষ চালক।

জেলা ট্্রাফিক ইন্সপেক্টও মো.ছায়দুল হক জ জানিয়েছেন দুর্ঘটনা রোধে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এ জন্য তার নিয়মিত অভিযান ও চালকদের সচেতনা মুলক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে দুর্ঘটনা রোধে চালকরা আরও সচেতন হলে দূর্ঘটনা কমবে বলে মনে করছে সচেতন মহল। পাশপাশি মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইক, রিকশা, ভ্যানগাড়ি, পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টও বন্ধের দাবিও জানিয়েছে।






Shares