বিশ্বরোডে উচ্ছেদ অভিযান, সিএনজি ষ্ট্যান্ড দখলমুক্ত, পালিয়েছে চাঁদাবাজরা
মো. মাসুদ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের বিশ্বরোড় মোড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
শনিবার একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে দুই থানা ও ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় দিনভর চলে উচ্ছেদ অভিযান। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়েছে চাঁদাবাজরা। দশ বছর পর দখলমুক্ত হয়েছে সিএনজি অটোরিক্সা ও টেম্পু ষ্ট্যান্ডটি। স্বস্থ্যির নিঃশ্বাস ফেলেছে যাত্রী ও পথচারীরা।
পুলিশ, ব্যবসায়ি ও স্থানীয় লোকজন জানায়, বিশ্বরোড মোড়ের পূর্ব পাশে সওজের জায়গায় সরকারি অর্থায়নে সিএনজি অটোরিক্সা ও টেম্পুর জন্য একটি ষ্ট্যান্ড নির্মাণ করা হয়েছে। ষ্ট্যান্ডটি নির্মাণের পরই কৌশলে দখলে নিয়েছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক। তারা সেখানে আস্তে আস্তে গড়ে তুলেছে কাঁচা বাজার। দুই পাশে বসিয়েছে অর্ধশতাধিক বিভিন্ন পসরার দোকান। দোকানীরা নিজের টাকায় টং ও টিনের ঘর তৈরী করে আর দৈনিক ২/৩’শ টাকা চাঁদা আদায় করে মাওলানা বোরহান সহ কতিপয় ব্যক্তি। মহাসড়কের পশ্চিম পাশে সওজের জায়গায় অর্ধশতাধিক অবৈধ দোকান বসিয়ে একই কায়দায় দৈনিক ভিত্তিতে চাঁদা উত্তোলন করছেন রউফ মিয়া নামের এক লোক। দক্ষিণ পাশে কিছু দোকান বসিয়ে চাঁদা তুলছেন কয়েকজন লোক। এ কাজে সওজের কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাথে যোগসাজশ রয়েছে চাঁদাবাজদের। ফলে সিএনজি গুলো দাঁড়িয়ে থাকে মহাসড়কের উপর। এতে করে অহরহ ঘটছে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা। মুহুর্তের মধ্যে ঝড়ে যাচ্ছে মূল্যবান জীবন। চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ২/৩ গ্রামের দাঙ্গাবাজরা মহাসড়কের উপর সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। খোপড়ি দোকান গুলোতে চলে মাদক বিক্রি ও সেবন। সন্ধার পর এসব দোকানে বসেই লক্ষ্যস্থল নির্ধারন করে ডাকাত ও ছিনতাইকারীরা। আশপাশে চলে নানান অসামাজিক কাজ। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গতকাল নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জহিরুল ইসলাম এ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন। সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলে এ অভিযান। অভিযানে অংশ গ্রহন করেন এএসপি (হেড কোয়াটার) মোঃ শফিকুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রব, সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলী আরশাদ, জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই)মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ বায়েজিদ মিয়া ও বিশ্বরোড হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট আবদুর নূর। দীর্ঘ সময়ের অভিযানে তারা মোড়ের সকল অবৈধ স্থাপনা ঘুড়িয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গতঃ ইতিপূর্বেও একাধিকবার এ সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে কর্তৃপক্ষ। কিছুদিন পরই চাঁদাবাজরা দোকানঘর বসিয়ে দেয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, সরকারি জায়গার সিএনজি ষ্ট্যান্ড দখল চাঁদাবাজী করছে জনৈক নেতা। মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা দাঁড়ানো ও চলাচল উভয়ই আইন পরিপন্থী। সরকারি জায়গায় কোন অবৈধ স্থাপনা থাকবে না।